তিন বছর পর 'বিদ্যুৎ'-হীন শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা, প্রস্তুতি পূর্বপল্লির মাঠে
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ তিন বছর পর শান্তিনিকেতনে হবে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। তার আগেই মঙ্গলবার পৌষমেলা নিয়ে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার জানান,’ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মেলা করতে আগ্রহী। তাই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। তবে হাতে সময় খুবই কম থাকায় মেলার বুকিংয়ের জন্য অনলাইনে ভরসা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। বুকিংয়ের যে সফটওয়্যার, তা নতুন করে ডেভেলপ করতে হবে। খড়গপুর আইআইটি তা করবে।‘
পূর্বপল্লির মাঠে তিন বছর পর ফের মেলা বসতে চলেছে। এই আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন সকলে। শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠার আদি লগ্নে পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হতো উপাসনা গৃহের উল্টোদিকের মাঠে। পরবর্তীতে সেই মেলা স্থানান্তরিত হয় পূর্বপল্লিতে। তারপর থেকে চিরাচরিতভাবে সেই মাঠেই পৌষমেলার আয়োজন করে আসছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য থাকাকালীন পরপর তিন বছর বিশ্বভারতীর তরফে এই মেলা নিয়ে আগ্রহের অভাব ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
এতে প্রবল ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যান জেলাশাসক ও মন্ত্রী। মূলত, জেলা প্রশাসন, পুরসভা, ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ছিল এর প্রধান উদ্যোক্তা। তবে বিদ্যুৎ বিদায়ে বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। তাই পৌষমেলা হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় মল্লিক প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করে পৌষ মেলার হবে এমনই ইঙ্গিত দেন। তাই পৌষমেলা হওয়ায় আনন্দিত গোটা শান্তিনিকেতন বাসিন্দারা।