For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

মমতা পানে তাকিয়ে তমলুকের জনতা, ১৪৩৪ কোটি টাকার ৪৯৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন-শিলান্যাস

সোমবার মমতার সরকারি সভা তমলুকের নিমতৌড়িতে। সেখান থেকেই তিনি ১৪৩৪ কোটি টাকার ৪৯৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন অথবা শিলান্যাস করবেন।
09:48 AM Mar 03, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
মমতা পানে তাকিয়ে তমলুকের জনতা  ১৪৩৪ কোটি টাকার ৪৯৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন শিলান্যাস
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: শেষ মুহুর্তে জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে। কেননা রাত পোহালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) প্রশাসনিক সভা। আগামিকাল অর্থাৎ ৪ মার্চ সোমবার পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার সদর শহর তমলুকের(Tamluk) বুকে নিমতৌড়িতে প্রশাসনিক ভবন লাগোয়া ময়দানে সরকারি জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সভা থেকেই তিনি ১,৪৩৪ কোটি টাকা মূল্যের মোট ৪৯৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন অথবা শিলান্যাস করবেন। এর মধ্যে সব থেকে বড় যে প্রকল্পটি কাল মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে শিলান্যাস হতে চলেছে সেটি হল ১০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে তমলুক শহরের বুকে প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প(Water Supply Project)। ২০২৬ সালের মধ্যে সেই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। তবে এর বাইরে মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিকে যে কারণে সব থেকে বেশি আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকবেন জেলার জনতা তা হল লোকসভা নির্বাচনের(General Election 2024) প্রাক্কালে অধিকারীদের জেলায় এসে কোন বার্তা দেন মমতা সেই দিকে।

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামিজকাল মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ৪৭৪কোটি ৩৪লক্ষ টাকা মূল্যের মোট ১৪৭টি প্রকল্পের শিলান্যাস হতে চলেছে। সেই সঙ্গে ৯৬০কোটি ৮৬লক্ষ টাকা খরচে ৩৪৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। শিলান্যাস সাধন করবেন ১০৬কোটি ৬৯লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রতিটি বাড়িতে পর্যাপ্ত পানীয় জল সরবরাহ করা প্রকল্পের। রয়েছে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী ১কোটি ৯৭লক্ষ টাকা ব্যয়ে রূপনারায়ণ নদ বরাবর ১৪নম্বর ওয়ার্ডে সৌন্দর্যায়ণের কাজ হবে। সেই কাজেরও সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরসভার ১ ও ২০নম্বর ওয়ার্ডে দু’টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের শিলান্যাস করবেন। এজন্য ৬লক্ষ ৬৯হাজার টাকা খরচ হবে। এই সব প্রকল্পের মধ্যে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প অবশ্যই পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজটি। ১৬০বছরের পুরানো তমলুক পুরসভায় এতদিন পাম্পের সাহায্যে মাটির নীচ থেকে জল তুলে বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করা হতো। গরমের সময় শহরের নানাপ্রান্তে পর্যাপ্ত জল পৌঁছাতো না। কেননা তখন মাটির নীচে জলস্তর কমে যেত। অগত্যা পুরসভা থেকে জলের ট্যাঙ্ক পাঠাতে হতো জলের অভাব পূরণ করতে। কিন্তু, সঙ্কট মেটালেও স্থায়ী সমাধানের জন্য জলপ্রকল্প জরুরি ছিল।

Advertisement

এই জল প্রকল্প গড়ে উঠলে তমলুক শহরের প্রায় ১৭০০টি বাড়িতে জল পৌঁছবে। উপকৃত হবেন ৮২হাজার মানুষ। জলপ্রকল্প চালু হওয়ার পর প্রতিদিন মাথাপিছু ১৩৫লিটার জল বরাদ্দ থাকবে। জেলারই নন্দকুমার থানার ইছাপুরে রূপনারায়ণ নদ থেকে জল তুলে পাইপের মাধ্যমে সেই জল নিয়ে আসা হবে তমলুক শহরের পাশেই থাকা দক্ষিণচড়া শঙ্করআড়ায়। ওই জায়গায় ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসবে। সেখানে জল শোধনের পর শহরের ৬টি প্রান্তে অবস্থিত ৬টি ওভারহেড রিজার্ভারে তা পৌঁছে যাবে। তারপর তা পৌঁছে যাবে শহরের বাড়িতে বাড়িতে। এই জল প্রকল্প তমলুক শহরের দীর্ঘদিনের দাবি। অবশেষে সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই। য়ার তার জেরেই শহরে পানীয় জলের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতেও চলেছে। এই জল প্রকল্পের শিলান্যাসের পাশাপাশি সবার নজর থাকবে মমতা কোন রাজনৈতিক বার্তা দেন সেই দিকেও। কেননা পূর্ব মেদিনীপুর অধিকারীদের জেলা।

উনিশের লোকসভা নির্বাচনের সময়ও অধিকারী পরিবার ছিল তৃণমূলে। সেই কারণে তৃণমূল শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীকে যেমন কাঁথি থেকে প্রার্থী করেছিল, ঠিক তেমনি তমলুক থেকে প্রার্থী করে শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকে। সেই নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি ১৮টি আসন জিতে নিলেও কাঁথি ও তমলুক থেকে জয়ী হয় তৃণমূলই। কিন্তু একুশের ভোটের সময় থেকেই দুই সাংসদই তৃণমূলের সঙ্গে যাবতীয় যোগ ছিন্ন করে। শুভেন্দুও যোগ দেন বিজেপিতে। একুশের ভোটে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অধিকারীদের হাত ধরে বিজেপি ১৬টি আসনের মধ্যে ৭টিতে জয়ের মুখ দেখে। তার মধ্যে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর বিতর্কিত জয়ও আছে। কিন্তু সেই নির্বাচনের ১ বছরের মধ্যেই হওয়া পুরসভা নির্বাচনে কোনও ছাপই ফেলতে পারেনি বিজেপি। অধিকারীদের খাস তালুক কাঁথি শহর চলে যায় তৃণমূলের দখলে। গত বছরে হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার ৭-৮টি পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপি দখলে গেলেও জেলা পরিষদ এবং বেশির ভাগ পঞ্চায়েত সমিতি রয়েছে তৃণমূলেরই দখলে। এবারে ২৪’র ভোটে বিজেপি ইতিমধ্যেই শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দ্যুকে কাঁথি থেকে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেছে। সম্ভবত দিব্যেন্দুকেও তাঁরা তমলুক থেকে প্রার্থী করবে। এই অবস্থায় মমতা কাল তমলুক থেকে অধিকারীদের কীভাবে নিশানা বানান তা দেখার জন্য তাকিয়ে আছে পূর্ব মেদিনীপুরের জনতা। 

Advertisement
Tags :
Advertisement