কবে হবে পুরসভা, মুখ্যমন্ত্রী পানে তাকিয়ে তেহট্টের জনতা
নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) প্রতিশ্রুতি মতো নদিয়া(Nadia) জেলারই হরিণঘাটা পুরসভা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি মহকুমা শহর হয়েছে। কিন্তু তেহট্ট(Tehatta) মহকুমা শহর হওয়া সত্ত্বেও পুরসভা আর হয়ে উঠছে না। ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু তেহট্ট পুরসভা(Mubicipality) হয় না। এলাকার বাসিন্দারা আশায় আছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন। মুখ্যমন্ত্রী কৃষ্ণনগর এসে একটি প্রশাসনিক সভায় বলেছিলেন, নদিয়ার হরিণঘাটা ও তেহট্ট পুরসভা হবে। সেই ঘোষণা মতো হরিণঘাটা পুরসভা হলেও কোনও অজানা কারণে আজ পর্যন্ত তেহট্ট পুরসভা না হওয়ায় কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ তেহট্টবাসী। তাঁদের দাবি, একই সঙ্গে ঘোষণা হয়েছিল তেহট্টা আর হরিণঘাটা পুরসভা হবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী হরিণঘাটা পুরসভা হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তেহট্ট মহকুমা হয়েও পুরসভার স্বীকৃতি পেল না আজও।
১৯৯৬ সালে তেহট্টকে নদিয়া জেলার মহকুমা হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সময় বামফ্রন্ট সরকার আশ্বাস দিয়েছিল তেহট্টকে পুরসভা হিসাবেই গড়ে তোলা হবে। সেই ঘোষণা মোতাবেক তেহট্টজুড়ে ব্যানার পোস্টার পড়েছিল যে, তেহট্টকে পুরসভা করার জন্য বাম সরকারকে ধন্যবাদ। কিন্তু ঘোষণাই সার, তারপর কোনও পদক্ষেপ করেনি বাম সরকার। তেহট্টকে পুরসভা করার ঘোষণা বাস্তবায়িত না করায় বামেদের ওপর নিদারুণ ক্ষুব্ধ তেহট্টবাসী। তবে তৃণমূলের জমানায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী নিজে এসে জানিয়ে গিয়েছিলেন যে তেহট্টকে পুরসভা করা হবে, তাই এখনও রাজ্যের ক্ষমতাসীন সরকারের ওপর আস্থা রাখছেন তেহট্টবাসী।
এখনই না হোক আগামী দিনে তেহট্ট পুরসভা হবে এমন আশা রাখেন তেহট্টবাসী। কেননা মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো তেহট্টে সরকারি কলেজ, আইটিআই, পলিটেকনিক কলেজ হয়েছে, এমনকী স্টেডিয়ামও হয়েছে। আর তাই আরও কিছুদিন ধৈর্য রাখতে চাইছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় তৃণমূল(TMC) নেতৃত্বের দাবি, শুধু ঘোষণা করে দিলেই চলে না। তেহট্টকে পুরসভা করে দেওয়ার পরে রাজ্য সরকারকেও এই পুরসভার জন্য প্রতি বছর ভালো টাকা দিতে হবে। কেন্দ্র যেখানে সব টাকাপয়সা আটকে রেখাছে সেখানে বাড়তি টাকা আসবে কোথা থেকে!