উত্তর দিনাজপুরের কুলীক পক্ষীনিবাসে বনভোজন নিষিদ্ধ করল বন দফতর
নিজস্ব প্রতিনিধি : শীতের মরশুমে বনভোজন বাঙালিদের কাছে একটা অভ্যাস। তবে বনভোজনের জন্য যাতে পক্ষীনিবাস সংলগ্ন এলাকা ব্যবহার না করা হয়, সেজন্য সতর্ক হল রাজ্য প্রশাসন। সম্প্রতি রাজ্যের বন দফতরের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাস সংলগ্ন এলাকায় বনভোজন করা যাবে না।বন দফতরের তরফে থেকে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত পোস্টার টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রায়গঞ্জ শহর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরেই রয়েছে আবদুলঘাটা, ভট্টদিঘি ও সোহারই। এই তিনটি মৌজার ৩০০ একর জায়গা জুড়েই রয়েছে এই কুলিক পক্ষীনিবাস। প্রতি বছর হাজার হাজার মাইল দূর থেকে শামুকখোল, করমরেন্ট, নাইট হেরন সহ একাধিক প্রজাতির পাখি এই পক্ষী নিবাসে আসে। দূর দূরান্ত থেকে প্রচুর পর্যটক আসে এই পক্ষীনিবাসে।
সাধারণত প্রতি বছর এই শীতের সময় এই আবদুলঘাটা, ভট্টদিঘি এলাকায় প্রচুর মানুষ আসেন পিকনিক করতে। শুধু রায়গঞ্জ নয়, হেমতাবাদ ও কালিয়াগঞ্জের বাহারাইল ও ধামজা ফরেস্টে পিকনিক করতে আসেন অনেকেই। কিন্তু সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের জেলা বন বিভাগ জানিয়ে দিয়েছে, এই সব এলাকায় আর পিকনিক করা যাবে না।
বন দফতরের আধিকারিক দাওয়া শাংমু শেরপা জানান, উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রতিটি বনাঞ্চলে পিকনিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বন দফতরের এক আধিকারিক জানান, যেহেতু শুষ্ক অঞ্চল রয়েছে, তাই এই সময় কেউ রান্না করলে যেকোনও মুহূর্তে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যেসব জায়গা ফাঁকা রয়েছে, সেখানে বনসৃজন করা হয়েছে। বন সংরক্ষমের জন্যই পিকনিক বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।