মধ্যপ্রদেশে গর্ভবতী মহিলাকে গণধর্ষণের পরে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা
নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানাতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হলেন এক মহিলা। শুধু তাই নয়, গণধর্ষণের পরে গায়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা চালায় তিন নরপিশাচ। কোনও ক্রমে প্রাণে বেঁচেছেন ওই নির্যাতিতা। আপাতত গ্বালিয়রের হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। ঘটনায় যুক্তদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মোরেনা জেলার আমবাহ থানার পুলিশ আধিকারিক অলোক পারিহার জানিয়েছেন, চাঁদ কা পুরা গ্রামের এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন এক মহিলা। ওই অভিযোগ যাতে তুলে নেওয়া হয় সেই অনুরোধ জানাতে অভিযোগকারিণীর বাড়িতে গিয়েছিলেন অভিযুক্তের স্ত্রী। কিন্তু আচমকাই অভিযোগকারিণীর স্বামী-সহ তিন জন ওই মহিলার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন। গণধর্ষণের পরে ওই মহিলার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে শরিরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। যদিও কোনও রকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন নির্যাতিতা।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই নির্যাতিতা মহিলা তার উপরে কী ঘটেছে তার বর্ণনা করেন। সেই বয়ান মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় বন্দি করেন নির্যাতিতার স্বামী। পুলিশের কাছে ওই বয়ান সম্বলিত ভিডিও জমা পড়েছে। ইতিমধ্যেই গ্বালিয়র হাসপাতালে গিয়ে ধর্ষিতা মহিলার বয়ান রেকর্ড করেছেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট। পুলিশও মহিলার জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের টিঁকি ছুঁতে পারেনি।