পৌষ মেলার দাবিতে বিশ্বভারতীর গেট ভেঙ্গে বিক্ষোভ আন্দোলনকারীদের
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ এবছর পৌষ মেলা হবে না শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের এই ঘোষণার পরেই মঙ্গলবার সকাল থেকেই শান্তিনিকেতনে শুরু হয় বিক্ষোভ। বলাকা গেট নিরাপত্তারক্ষীদের ধস্তাধস্তি করতে দেখা যায় বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ, বোলপুরের ব্যবসায়ী সমিতি এবং হস্তশিল্প সমিতির সদস্যদের। পৌষমেলা করতে হবে, এই দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গেটের তালা ভেঙ্গে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ‘বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য থাকার সময় মেলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তিনি নেই। তাহলে মেলা কেন হবে না।‘ ব্যবসায়ীদের দাবি, এবছর ছোট করে পৌষ মেলা হওয়ার কথা ছিল তবে তা কেন হবে না ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে পৌষ মেলার আয়োজন নিয়ে এর আগের বৈঠকেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল যে, এ বার পূর্বপল্লির মাঠে ছোট আকারে পৌষমেলা হবে। পরিবেশ আদালতের দূষণবিধি মেনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট অবশ্য আশায় ছিল বড় আকারেই মেলা হবে। কিন্তু এদিনের বৈঠকের পরে তাঁরাও পিছু হঠেছেন। বিদ্যুৎ জমানায় শান্তিনিকেতনে গৈরিকিকরণের প্রয়াস চলেছিল সর্বস্তরে।
বন্ধ করে দেওয়া হয় পৌষ মেলার আয়োজন এবং বসন্ত উৎসবে আমজনতা ও পর্যটকদের অংশগ্রহণও। বিদ্যুৎ বিদায় হতেই তাই সবাই আশায় বুক বেঁধেছিলেন পৌষ মেলাকে ঘিরে। মেলায় আয়োজন হবে, একথা শুনে তা সাধুবাদ জানিয়েছিলেন আশ্রমিক থেকে শান্তিনিকেতনের স্থানীয় বাসিন্দা এবং সর্বোপরি ব্যবসায়ীরা। তবে ৪ ঠা ডিসেম্বর সোমবার পৌষ মেলা হবে না বলে ঘোষণা করে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার। এই ঘোষণার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে ব্যবসায়ীরা।