ভুঁড়ি বাড়ছে ? এই পদ্ধতিতে পুদিনা পাতা খেলে মেদ ঝরবে চটজলদি
নিজস্ব প্রতিনিধি : পুদিনার চাটনি হোক বা সরবত খেতে ভালবাসে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। তবে আপনি কী জানেন এর গুণাগুণ ? মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা থেকে শুরু করে ত্বক, পেটের সমস্যায় পুদিনা পাতার জুড়ি মেলা ভার। পেট নিয়ে অনেকে চিন্তার মধ্যে থাকেন। যে হারে ভুঁড়িতে মেদ জমছে, এর সমাধান কী? পুদিনা পাতার মধ্যেই আছে সমাধান। জেনে নিন কোন পদ্ধতিতে পুদিনা পাতা খেলে মিলবে সমাধান।
পুদিনা ভেজানো জল : প্রথমে কুচি কুচি করে পুদিনা কেটে নিন। তারপর তা ভিজিয়ে নিন জলে। ৪ থেকে ৫ মিনিট এভাবেই জলে পুদিনা ভিজিয়ে নিন। ভেজানো জল সারারাত রেখে দিন রেফ্রিজারেটারে। পরের দিন জল বের করে সাধারণ তাপমাত্রায় আসতে দিন। সারা দিন ধরে অল্প অল্প করে ওই জলে চুমুক দিয়ে চায়ের মত খেতে পারেন।
তবে চাইলে ওই জলে দিতে পারেন সামান্য লেবুর রস। এছাড়াও শসা কেটে আপনার পুদিনা-জল ভর্তি জার-এ ফেলে দিতে পারেন। শসা আলাদা খেয়ে জলটি খেতে পারেন। এতেও অনেক উপকার পাবেন।
পুদিনা চা : এটি ভুঁড়ির মেদ কমাতে ও হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এরজন্য আপনাকে কয়েকটি পুদিনা পাতা সামান্য শুকিয়ে নিয়ে রোদে রেখে দিতে হবে।
এরপর শুকোনো পুদিনা পাতা গরম জলে দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর তা ১০ মিনিট রেখে ফোটানো বন্ধ রেখে ঢাকা দিয়ে ভিজিয়ে নিন। এর সঙ্গে সামান্য মধু যোগ করে তা সকালে আর বিকেলে খেতে পারেন।
দই পুদিনা : দইয়ের সঙ্গে সামান্য পুদিনা কুচিয়ে দিতে পারলেই সোনাই সোহাগা। এটি গরমে দিনে পেটের পক্ষেও এটি ভালো। যদি হজম ভালো হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি ওজন ও নিয়্ন্ত্রণে থাকে। তবে টক দইয়ে চিনি দেবেন না, চিনি ছাড়া, না হলে এই টোটকা কাজ করবে না।
সচেতনতা : পুদিনা পাতা বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ। তবে যারা সংবেদনশীল তাঁরা পুদিনা পাতা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।