রেল দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আহতদের যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসা নিয়েও চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। আহতদের দেখে বেরিয়ে আসার পরে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী জানান, একজন বাদে বাকি আহতরা স্থিতিশীল। তাঁরা সুস্থ হলেই বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।
সোমবার সকালে নিউ জলপাইগুড়ির রাঙাপানি স্টেশনের কাছে শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয় মালগাড়ি। ওই ধাক্কায় কাঞ্চনজঙ্ঘার বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যূত হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন বলে বেসরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও রেলের তরফে মাত্র নয়জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সকালে বাড়ি থেকে পরিস্থিতির উপরে বিশেষ নজর রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের উদ্ধারকার্যের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।
বিকেলেই কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে সোজা চলে যান উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আহতদের দেখে বেরিয়ে আসার পরেই রেল দুর্ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন দুর্ঘটনা রোধে অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস প্রযুক্তি চালু করেছিলাম। মুম্বইয়ের কোঙ্কন রেলওয়েজকে কাজে লাগিয়েছিলাম। শুধু নাম বদল চলছে। আগে মানুষের রক্ষা কবচ নিয়ে ফিরুক। এখন তো রেল মন্ত্রকের আলাদা কোনও বাজেট নেই। লাগাতার দুর্ঘটনা ঘটছে। গত বছর করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় কয়েকশো মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। তার পরেও টনক নেই। শুধু পুরনো ট্রেনগুলিকে নতুন নাম দিয়ে বাড়তি ভাড়া আদায় করে চলেছে রেলমন্ত্রক। রেলে এখন কী হচ্ছে জানি না ৷ তবে মানুষকে রেল ছেড়ে এখন বাইক, সাইকেলে যাতায়াত করতে হচ্ছে ৷’
দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ইতিমধ্যেই বাকি যাত্রীদের নিয়ে রাতেই পৌঁছচ্ছে শিয়ালদা স্টেশনে। যাত্রীদের যাতে বাড়ি ফিরতে সমস্যা না হয় তার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।