সাঁতার কাটতে গিয়ে কুমিরের খপ্পরে, ৩৬ ঘন্টা পরে মিলল ১২ বছরের কিশোরির মরদেহ
নিজস্ব প্রতিনিধি: মানুষ তো বটে, পশুদের থাবা থেকেও নিস্তার নেই। বাঘ-সিংহ তো আছেই, এখন সাপ-কুমিরের থাবা থেকেও রেহাই পাচ্ছে না মানুষ। কোথাও সাপের পেট কেটে মানুষের মরদেহ উদ্ধার হচ্ছে, আবার কোথাও কুমির খেয়ে ফেলছে জ্যান্ত মানুষকে। জলে-স্থলে কোথাও রেহাই নেই। সম্প্রতি উত্তর অস্ট্রেলিয়ার একটি খাঁড়িতে সাঁতার কাটার সময় কুমির ছিনিয়ে নিয়ে যায় একটি ১২ বছরের কিশোরীকে। এই ঘটনার দুই দিন পর আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ওই ১২ বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ খুঁজে পেলেন পুলিশ। কী সাংঘাতিক কাণ্ড!
পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি উত্তর টেরিটরি রাজধানী ডারউইনের দক্ষিণ-পশ্চিমে পালুম্পার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মেয়েটি নিখোঁজ হয়েছিল সেই অঞ্চলের কাছাকাছি একটি নদী থেকে, সেখানেই আজ তাঁর দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তর অস্ট্রেলিয়া থানার পুলিশ সিনিয়র সার্জেন্ট এরিকা গিবসন। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, ঘাতক কুমিরটিকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এই অঞ্চলের নদীগুলি লবণাক্ত জলের হওয়ায় এখানে কুমিরের আনাগোনা বহুলাংশে। কারণ লবণাক্ত জলে কুমির ৭০ বছরের বেশি সময় বাঁচতে পারে।
মেয়েটি নিখোঁজ হওয়ার ৩৬ ঘন্টা পর তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সাঁতার কাটার সময়েই ১২ বছরের মেয়েটিকে কুমীর আক্রমণ করেছিল। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলের রাজধানী ডারউইন থেকে সাত ঘন্টার দূরত্বে প্রায় ৩৫০ জন লোক বসবাসকারী একটি প্রত্যন্ত শহর পালুম্পার কাছে একটি খাঁড়িতে সাঁতার কাটার সময়ে কিশোরীটি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, নর্দার্ন টেরিটরিতে প্রায় ১০০,০০০ এরও বেশি কুমির রয়েছে, যাদের আকার প্রায় ২০ ফুটেরও পর্যন্ত বেশী। ১৯৭০ দশকে অস্ট্রেলিয়ান আইনের অধীনে একটি সুরক্ষিত প্রজাতি হওয়ার পর থেকে কুমিরের জনসংখ্যা দেশের গ্রীষ্মমন্ডলীয় উত্তর জুড়ে বিস্ফোরিত হয়েছে।