জালিয়াতির খপ্পরে পড়ে খুইয়েছেন ৪.১৪ কোটি, বোম্বে হাইকোর্টে দ্বারস্থ রিমি সেন
নিজস্ব প্রতিনিধি: মাঝে মধ্যেই তারকাদের আর্থিক প্রতারণার খপ্পরে পড়ার কথা শোনা যায়। কেউ ব্যাঙ্ক জালিয়াতির শিকার হন, আবার কেউ সম্পত্তি নিয়ে জালিয়াতির শিকার হন। তবে সাধারণ মানুষ থেকে তারকাদের ব্যাঙ্ক জালিয়াতির খপ্পরে পড়ার ঘটনাই বেশি খবরে উঠে আসে। যাই হোক, রিমি সেন, বলিউডের প্রাক্তন অভিনেত্রী। খুব অল্প দিনেই নিখুঁত অভিনয়ের মাধ্যমে ভক্তদের মন জয় করে ফেলেছিলেন বঙ্গতনয়া। বলিউডের পাশাপাশি টলিউডেও নাম কামিয়ে নিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু কেরিয়ারের মধ্যগগনে অভিনেত্রী আচমকাই উধাও হয়ে যান অভিনয় জগৎ থেকে। বহুদিন পরে আবারও খবরে এলেন মিমি। আর্থিক প্রতারণার জালে আটকা পড়েছেন মিমি। ছুটে গিয়েছেন বোম্বে হাইকোর্টে। কী হয়েছে তাঁর? তবে এই ঘটনা অনেকদিনের পুরোনো। ২০২২ সালে অভিনেত্রী তাঁর বন্ধু রৌনক যতীন ব্যাসের বিরুদ্ধে ৪ কোটি টাকার বেশি প্রতারণার দায়ে একটি মামলা ঠুকেছিলেন মুম্বই থানায়।
তবে তিনি এই মামলায় তিনি কিছু নথি হারিয়ে ফেলায়, এখন মামলাটির জন্যে নতুন করে বোম্বে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন অভিনেত্রী। মামলাটির কেন কোনও অগ্রগতি হচ্ছে না, তাও তিনি ব্যাখ্যা করেছেন বোম্বে হাইকোর্টে।বন্ধুর বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতারণার মামলার বিবরণে অভিনেত্রী দাবি করেছেন যে, তাঁর বন্ধু রৌনক যতীন ব্যাস তাঁর ব্যবসায় রিমিকে ৪.১৪ কোটি টাকার বিনিয়োগ দিতে বলেছিলেন এবং তিনি অভিনেত্রীকে উচ্চ আয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়াদ ফুরোতেই অভিনেত্রীর বন্ধু কল এড়াতে শুরু করে। তখনই সে বুঝতে পারে যে, সে প্রতারিত হচ্ছে।পুরোনো একটি সাক্ষাৎকারে, রিমি বিষয়টি নিয়ে বলেন, কেন তার মামলায় দুই বছর বিলম্ব হয়েছিল। তিনি উল্লেখ করেন যে, খার থানায় স্থানান্তরের সময় তার ফাইলটি হারিয়ে যায়। যেহেতু এফআইআর-এর জন্য ৩-৪ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্বাক্ষর নেওয়া প্রয়োজন, তাই তাকে নতুনভাবে প্রক্রিয়াটি শুরু করতে হয়েছিল, যার জন্য দুই বছর সময় লেগে গেল। তিনি আরও জানান যে মামলাটি এখন পুলিশ অফিসার দয়া নায়কের তত্ত্বাবধানে সিআইডি ইউনিট 9-এ স্থানান্তর করা হয়েছে। রিমি সেনের লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি তিন বছর আগে আন্ধেরির একটি জিমে অভিযুক্ত রৌনক যতীনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, এবং দুই মাসে তারা ভাল বন্ধু হয়ে যান। যতীন নিজেকে একজন ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছেন এবং এলইডি লাইটের একটি নতুন কোম্পানি খুলেছেন তিনি, সেটা জানিয়েছিলেন।
এরপর তিনি সেনকে ৪০ শতাংশ রিটার্নের আশা দেখিয়ে তাঁর কোম্পানিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন। তিনি অর্থ বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে, তারা একটি চুক্তির খসড়া তৈরি করে। বিনিয়োগের সময়সীমা শেষ হলে, রিমি সেন তার লাভ দিতে অনুরোধ করেন, কিন্তু যতীন তার আহ্বান উপেক্ষা করতে শুরু করেন। তখন সে জানল যে যতীন এমন কোনও ব্যবসাই নেই। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে সেন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ২০২২ সালে, তদন্তের পরে, খার পুলিশ যতীনের বিরুদ্ধে IPC-এর বিভিন্ন ধারায় মামলা নথিভুক্ত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে 406 - অপরাধমূলক বিশ্বাস লঙ্ঘনের জন্য শাস্তি এবং 420 - প্রতারণা এবং অসাধুভাবে সম্পত্তি বিতরণে প্ররোচিত করা। উল্লেখ্য, রিমি সেন হিন্দি, তেলেগু এবং বাংলা ইন্ডাস্ট্রির ছবি করেছেন। যেমন হাঙ্গামা , বাগবান, ধুম, গরম মসলা, কিয়ন কি, ফির হেরা ফেরি এবং গোলমালে উপস্থিত হয়েছেন। তিনি ২০১৫ সালে রিয়েলিটি টেলিভিশন শো বিগ বস-এও অংশগ্রহণ করেছিলেন।