OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

৬ সপ্তাহের মধ্যে মেটাতে হবে বেতন, শিক্ষককের মামলায় নির্দেশ হাইকোর্টের

আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিতে হবে। স্কুল শিক্ষক সমন্বয় চৌধুরীর মামলায় রায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের।
05:52 PM Jan 02, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: এক আধ বছর নয়, টানা ২ বছর। না তিনি স্কুলে গিয়েছেন, না তিনি বেতন পেয়েছেন। শেষে বেতন চেয়ে হাইকোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছেন। হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ তাঁর বেতন মেটানোর নির্দেশ দিলেও তিনি বকেয়া বেতন হাতে পাননি। তার জেরে ফের হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি। এবার ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলাতেই আদালত রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিল আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে তাঁর বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিতে হবে। যদিও স্কুল শিক্ষা দফতর(School Education Department) সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা এই রায়কে সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court) চ্যালেঞ্জ জানাবেন। যে স্কুল শিক্ষকের মামলায় আদালতের এই রায় এবং পাল্টা সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি সেই শিক্ষকের নাম সমন্বয় চৌধুরী।

ঠিক কী হয়েছে? জানা গিয়েছে, বাম জমানায় School Service Commission বা SSC’র পরীক্ষা দিয়ে স্কুল শিক্ষককের চাকরি পেয়েছিলেন সমন্বয়। সেই সূত্রেই ২০১০ সালে পুরুলিয়া জেলা(Purulia District) বান্দোয়ান থানার শিরীস ঘোড়া নিম্ন বুনিয়াদি স্কুলে শিক্ষক পদের চাকরিতে যোগদান করেন তিনি। কিন্তু, ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে স্কুল চলাকালীন সময়ে একদিন স্কুলে ঢুকে কিছু যুবক তাঁকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। বলা হয়, যদি কোনওদিন তিনি স্কুলে পা দেন তাহলে তাঁর প্রাণনাশ করা হবে। এরপরেই বান্দোয়ান থানাতে যোগাযোগ করেন তিনি। পুলিশে এসে তাঁকে উদ্ধার করে। এই ঘটনার পর আর সেই স্কুলে পা রাখেননি তিনি এবং বদলির আবেদন জানান। ২০১৪ সালে তাঁর সেই আবেদন গৃহীত হয় ও অন্য স্কুলে স্থানান্তরিত হয়ে যান তিনি। কিন্তু, এর মাঝের সময় অবশ্য স্কুলে যেতে পারেননি সমন্বয়। সেই সময়ের বেতনও পাননি ওই শিক্ষক। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছে সেই বেতন মিটিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান। যদিও তা গৃহীত হয়নি। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) দরজায় কড়া নাড়েন সমন্বয়।

এই ঘটনার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ সমন্বয়ের বেতন মিটিয়ে দেওয়ার পক্ষেই রায় দিয়েছিল। আদালত জেলা শিক্ষা সংসদকে সমন্বয়ের বেতন মিটিয়ে দিতে বলে। কিন্তু ২ বছরের বকেয়া বেতন হাতে পাননি সমন্বয়। এরপরেই আইনি লড়াই জারি রাখার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেই সূত্রেই তাঁর ডিভিশন বেঞ্চে মামলা। সেই মামলাতেই ডিভিশন বেঞ্চের রায় আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে সমন্বয়ের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু স্কুল শিক্ষা দফতর সম্ভবত সেই রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানাতে চলেছে। সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে।

কেননা তাঁদের দাবি, যে ঘটনার জেরে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেন সমন্বয় সেই মামলায় মাওবাদী কোনও যোগাযোগ পাওয়া যায়নি। উনিও পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। এমনকি তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে এই মর্মেও কিছু জানাননি। চাননি পুলিশি নিরাপত্তাও। জেলা শিক্ষা সংসদকেও কিছু জানাননি। নিজের খুশি মতো স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। সব থেকে বড় কথা রাজ্যে ২০১১ সালের পরে কয়েক মাসের জন্য জঙ্গলমহলে অশান্তি নতুন করে ছড়িয়েছিল ঠিকই। কিন্তু মাও নেতা কিষানজীর(Mao Leader Kishanji) মৃত্যুর পরে সেটাও থিতিয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে জঙ্গলমহলের কোনও এলাকাতেই মাওবাদীদের কোনও উপদ্রবের ঘটনা ঘটেনি। কিষানজীর মৃত্যুর ঘটনার ১ বছর পর স্কুলে মাও হামলার অভিযোগ তুলেছেন সমন্বয়। অথচ সেই ঘটনায় মাও যোগ খুঁজেই পাওয়া যায়নি। অথচ মাও হামলার অভিযোগ তুলেই টানা ২ বছর নিজের খুশি মতো স্কুলে যাননি সমন্বয়। তার জন্য কেন বেতন মেটানো হবে!  

Tags :
Calcutta High CourtPurulia DistrictSchool Education Department.School Service Commissionsupreme court
Next Article