OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

৬ বছর ধরে বেতন মিলছে না, মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ জীবিকা সেবকেরা

টানা ৬ বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না বাংলার ৯৩০জন জীবিকা সেবক। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকার তাঁদের বেতন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
10:39 AM Dec 09, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google and Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: এক আধ মাস নয়, এক আধ বছরও নয়। টানা ৬ বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না বাংলার(Bengal) ৯৩০জন জীবিকা সেবক(Jibika Sebak)। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার তাঁদের বেতন(Salary) দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে তাঁরা কিন্তু নিয়মিত ভাবে হাজিরা দিচ্ছেন, কাজ করছেন নিজ নিজ কর্মস্থলে। কিন্তু ৬ বছরেও ছবি না বদলানোয় এবার তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। বাংলার ১৩টি জেলায় প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে একজন করে জীবিকা সেবক রয়েছেন। রাজ্যের এগ্রিকালচার বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা ওই সেবকদের সংখ্যা এখন ৯৩০জন। কেন্দ্র সরকার প্রকল্প বন্ধ করলেও ৬ বছর ধরে বিনা বেতনে পঞ্চায়েতে নিয়মিত কাজ করছেন এই ৯৩০জন জীবিকা সেবক। সংসার চালাতে অবসর সময়ে অনেকেই টিউশনি করছেন। আবারও সুদিন ফিরবে এই আশায় তাঁরা রোজ নিয়ম করে পঞ্চায়েতেও যাচ্ছেন। কৃষি সংক্রান্ত যাবতীয় কাজও তাঁরা করছেন।  

২০০৯ সালে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় কৃষি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের Backward Regions Grant Fund বা BRGF প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে একজন করে জীবিকা সেবক নিযোগ করা হয়। রাজ্যের বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪পরগনা, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ৯৩২জন জীবিকা সেবক নিয়োগ করা হয়। তাঁরা প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা করে বেতন পেতেন। ২০১৪ সালে ওই প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়। তাঁদের জীবিকার কথা ভেবে রাজ্য সরকার পরবর্তী ৩ বছর নিজেদের কোষাগার থেকে বেতন মেটায়। কিন্তু, তারপর অর্থের অভাবে রাজ্য সরকারও তা বন্ধ করে দেয়। ওই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার জীবিকা সেবকদের ১০০দিনের কাজের প্রকল্পের আওতায় আনার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু, কেন্দ্র তাও মানেনি। এভাবে গত ৬ বছর কেটে গিয়েছে। বেতন না পেয়ে জীবিকা সেবকরা চরম সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন।

পশ্চিমবঙ্গ জীবিকা সেবক ফেডারেশনের রাজ্য সভাপতি চন্দন ঘোষ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের BRGF প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা নিযুক্ত হয়েছিলাম। তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারের অপর একটি প্রকল্প পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় আমাদের আনার ব্যাপারে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে চিঠি পাঠানো হয়। মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রতি বিডিওর কাছেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, আজ পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। এই অবস্থায় আমরা বিনা বেতনে গত ৬ বছর ধরে কাজ করে চলেছি। আবার আমরা আগের মতোই বেতন পাব, এই আশায় রোজ নিয়ম করে পঞ্চায়েতে অফিসে গিয়ে কাজ করি। কিন্তু, এভাবে কতদিন বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে হবে জানি না। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে ইতিমধ্যেই কয়েকজন জীবিকা সেবকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে আমাদের অসুবিধার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছি।  

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে পঞ্চায়েতস্তরে কৃষিদফতরের অধীনে একজন করে KPS ছিলেন। অধিকাংশ ওই পদে কর্মী না থাকায় পঞ্চায়েত এলাকায় কৃষি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ তাঁদের দিয়ে করানো হয়। বেতন না পেলেও আজও তাঁরা একই কাজ করে চলেছেন। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েতের বাড়তি কাজও তাঁরা করছেন। তার জন্য কোনও কোনও পঞ্চায়েত নিজস্ব তহবিল থেকে সামান্য খরচ দেয়। কিন্তু, তাতে তো আর সংসার চলবে না। তাই অনেকেই বিকল্প হিসেবে অবসর সময়ে টিউশনি পড়ানো শুরু করেছেন।

Tags :
Backward Regions Grant Fund.bengalJibika SebakMamata BanerjeeNarendra modiSalary
Next Article