বোসের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না সায়ন্তিকা, শপথের ডাকই পাননি রেয়াত
নিজস্ব প্রতিনিধি: এবারের লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন সময়েই বাংলার দুটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হয়েছিল। সেই দুই কেন্দ্র হল মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলা(Bhagobangola) এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর(Baranagar)। সেই দুই কেন্দ্রেই জয়ী হয় তৃণমূল। ভগবানগোলা থেকে জয়ী হয়েছেন রেয়াত হোসেন সরকার(Reyat Hossain Sarkar) এবং বরানগর থেকে জয়ী হয়েছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়(Sayantika Banerjee)। কিন্তু নবনির্বাচিত এই দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এখন এক নয়া মাত্রা নিয়েছে। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস(C V Ananda Bose) শুধুমাত্র সায়ন্তিকাকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন শপথের জন্য, অথচ ডাকেননি রেয়াতকে। এই বিভাজন কেন তার ব্যাখ্যাও দেয়নি রাজভবন। আর তাই আমন্ত্রণ পেলেও সরাসরি বিধায়কদের রাজভবনে না যেতে বলারই অবস্থান নিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)।
জানা গিয়েছে, আগামী ২৬ জুন রাজভবনে শপথের জন্য সায়ন্তিকাকে ডাকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। কিন্তু রেয়াত হোসেন সরকার এখনও এমন কোনও আমন্ত্রণ পাননি বলেই জানিয়েছেন। এই দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ রীতিমাফিক রাজ্য বিধানসভায় অধ্যক্ষের হাতেই হওয়া উচিত। কিন্তু রাজভবন থেকে সবুজ সংকেত না পাওয়ায় দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ আটকে রয়েছে। তারই মাঝে বিধানসভার প্রবীণতম মহিলা বিধায়ক-সহ আরও কিছু তথ্য চেয়ে রাজ্যপাল চিঠি পাঠিয়েছেন। এতে ক্ষুব্ধ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও পাল্টা চিঠি দিয়ে রাজ্যপালকে ‘সাংবিধানিক নিয়ম’ স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এই টানাটানির মধ্যেই আগামী ২৬ তারিখ রাজভবনে সায়ন্তিকাকে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল।
যদিও সায়ন্তিকা জানিয়েছেন, ‘উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণত স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারকে শপথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দায়িত্ব দেন রাজ্যপাল। কিন্তু তা না করে, বিধানসভাকে কিছু না জানিয়ে সরাসরি আমাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে ভগবানগোলার বিধায়ককে কোনও চিঠি পাঠানো হয়নি বলেই শুনেছি। সেখানে আমি একা কেন যাব? আমি যাব না।’ আবার রেয়াত জানিয়েছেন, ‘শপথ গ্রহণের জন্য এখনও আমি কোনও ডাক পাইনি। তিন সপ্তাহ পরেও শপথ না নিতে পারা গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ নয়। বিধানসভার বিষয়ে অধ্যক্ষ যা বলবেন, তা-ই করব।’ তৃণমূল সূত্রের দাবি, গোটা বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।