নিরাপত্তা বাড়ানো হোক, Night Curfew কেন, মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ ব্যবসায়ীরা
নিজস্ব প্রতিনিধি: ধর্ষণ কোথায় না হয়? কিন্তু তার জন্য কী কোথাও Night Curfew জারি করে দিতে হয়! খুন কোথায় না হয়? কিন্তু তার জন্য কী শহরজুড়ে নিত্যদিন Night Curfew লাগু করে দেওয়া হয়! যদি তা না করা হয় তাহলে তা দিঘার(Digha) জন্য কেন করা হচ্ছে? পুলিশি নিরাপত্তা ও টহলদারি বাড়িয়ে দিলেই তো সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। Night Curfew’র কী প্রয়োজন আছে! এই যুক্তি ও প্রশ্ন তুলে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) দ্বারস্থ হতে চলেছেন দিঘার ব্যবসায়ীরা(Businessmen and Merchants)। সেই দলে হোটেল ব্যবসায়ী থেকে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী এবং সাধারন দোকানের ব্যবসায়ীরাও থাকছেন। থাকছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বিভিন হোটেলের কর্মীরাও। কেননা পর্যটকদের পাশাপাশি তাঁদের সকলের ওপর পুলিশি নির্দেশ(Police Order) নেমে এসেছে যে, রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে সব দোকানপাট বন্ধ করে দিতে হবে। পর্যটকেরা যেমন রাত ১১টার পরে হোটেলের বাইরে ঘোরাঘুরি করতে পারবেন না, তেমনি স্থানীয় কেউও বাড়ির বাইরে বার হতে পারবেন না। কার্যত স্থানীয় প্রশাসনের তরফে গাড়ি করে তা প্রচার করা হচ্ছে। যদিও সেই প্রচারে কোথাও Night Curfew শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে না।
পুলিশি পদক্ষেপে আপত্তি কোথায়? প্রথম আপত্তি, দিঘায় সারা রাত নানা হোটেল খোলা থাকে। কেননা দূরপাল্লার বাসে করে অনেকেই বেশি রাতের দিকে দিঘায় আসেন। তাঁরা হোটেলের সন্ধান করেন। সেই জন্য হোটেল, রেস্টুরেন্ট মায় চা-পান-বিড়ির দোকানও বেশি রাত অবধি খোলা থাকে। একই সুযোগ থাকে বার ও মদের দোকানের ক্ষেত্রেও। বেশি রাতেও পর্যটক থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের আনাগোনা থাকে বলেই রাতের দিকেও ওল্ড দিঘা বা নিউ দিঘায় মেলে টোটো থেকে ভ্যানো। তাছাড়া দিঘার অনেক বাসিন্দাই যেমন বাইরে কাজরে বেশি রাতে বাড়ি ফেরেন তেমনি দিঘায় কর্মরত অনেকেই বেশি রাত করে আশেপাশের গ্রামের বাড়িতে ফেরেন। এদের সকলের ক্ষেত্রেই অসুবিধা নেমে আসবে এভাবে Night Curfew’র মতো অবস্থা লাগু করে দিলে। সব থেকে বড় ধাক্কা খাবে স্থানীয় অর্থনীতির পাশাপাশি দিঘার ভাবমূর্তিও। তাই দিঘার স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ী সকলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠাচ্ছেন এই Night Curfew’র মতো অবস্থা লাগু না করার জন্য।
দিঘার বুকে অপরাধ বন্ধ করার জন্য দিঘা ও দিঘা মোহনা কোস্টাল থানার তরফে মাইকিং করে রাতের নিষেধাজ্ঞার কথা প্রচার করা হচ্ছে। রাতের শহরে মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া রাত ১১টার পর পর্যটকরা হোটেলের বাইরে ঘোরাঘুরি করতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যও প্রযোজ্য হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। দোকানদারদের সাড়ে ১১টার মধ্যে দোকানের ঝাঁপ ফেলে দিতে বলা হয়েছে। সন্ধ্যার পর ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘা পর্যন্ত সৈকত সরণি জুড়ে মহিলা পুলিশ বাহিনীর টহল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চলছে নাকা চেকিংও। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিকে বিশেষভাবে আনা হচ্ছে নজরদারির আওতায়। এ সবের জন্য দিঘায় অতিরিক্ত পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে জেলা পুলিশের তরফে। তাতে পর্যটক থেকে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা সকলেই খুশি। কিন্তু তাঁদের তীব্র আপত্তি Night Curfew’র মতো অবস্থা লাগু করা নিয়ে। সেই কারণেই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছেন।