OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

ইটভাটায় শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগ বিজেপির প্রধান ও সঙ্গীদের বিরুদ্ধে

03:02 PM May 26, 2024 IST | Subrata Roy

নিজস্ব প্রতিনিধি, শান্তিপুর: ইট ভাটার ভেতর শ্রমিকদের মারধর এর অভিযোগ বিজেপির প্রধান ও তার দল বলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ভাটার ভিতরে শান্তিতে বসবাস করার কথা জানিয়ে প্রতিবাদ শতাধিক ইটভাটা শ্রমিকের।নদীয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত গয়েশপুর পঞ্চায়েতের(Gayeshpur Panchayet) আয়েশা ইটভাটায় ভাটা শ্রমিকদের মারধর এবং ভাটার ভেতরে ঢাকা ট্রাক্টর এবং জেসিপি ভাঙচুরের অভিযোগ গয়েশপুর অঞ্চলের বিজেপি প্রধান শ্যামল ঘোষ(Shyamal Ghosh) এবং তার দলবলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আতঙ্কিত ভাটা শ্রমিকরা। ভাটা শ্রমিকদের অভিযোগ বিগত দুদিন আগে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে বচসায় জড়ান ভাটার মালিক এবং প্রধান ও তার দলবল।পরবর্তীতে শনিবার সকাল এবং রাতে দফায় দফায় ইটভাটায় এসে শ্রমিকদেরকে মৃত্যুর হুমকি এবং ইটভাটার শ্রমিকদের ঘরে বোম মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি তৎসহ তাদেরকে ধারালো অস্ত্র এবং বাঁশ দিয়ে তাড়া করে মারতে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে গয়েশপুর পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান এর বিরুদ্ধে।

পরবর্তীতে ইটভাটার(Brickfield) মালিক আনোয়ার হোসেন মন্ডল তিনি শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন এবং পুলিশী আশ্বস্ততায় তিনি কোনরকম প্রতিবাদ করেননি। তবে রাতের অন্ধকারে যেভাবে শ্রমিকদের আবারও ভয় দেখানোর এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে, তারই কারণে রবিবার সকালে ভাটার শতাধিক শ্রমিকরা প্রতিবাদ দেখান। তাদের দাবি তারা শান্তিপূর্ণভাবে ভাটায় কাজ করেন। ভাটা থেকে যে টাকা রোজগার হয় তাতেই চলে সংসার। বাইরের রাজ্য থেকে এসে কাজ করতে এই ভাটায় উপস্থিত হয়েছেন তারা। তবে যেভাবে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বিজেপির তরফে, তাতে করে তারা যথেষ্ট আতঙ্কিত। আজ সকালে সমস্ত শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে প্রতিবাদ করেন এবং তাদেরকে আশ্বস্ত করতে ভাটায় উপস্থিত হন ভাটা মালিক এবং তার পরিবার।যদিও শ্রমিকদের দাবি যেভাবে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের ওপর অত্যাচার করছে তাতে করে তারা অত্যন্ত আতঙ্কিত। যদিও এই ঘটনায় ইটভাটার মালিক আনোয়ার হোসেন মন্ডল জানান,এই ঘটনা নতুন কিছু নয়।বারবার তার ওপর এরকম মিথ্যে দোষারোপ করে তার ব্যবসা বন্ধের জন্য উদ্ধত হয়েছে বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান এবং তার দলবল।

তবে হামলার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে রেখে আনোয়ার হোসেন মন্ডলের দাবী,যে ঘটনা ঘটেছে তাতে করে ভাটার সমস্ত শ্রমিকরা আতঙ্কিত। আমার নিজের জায়গার মাটি সমান করার সময় বিজেপির প্রধান মদ্যপ অবস্থায় তার দলবল নিয়ে সেখানে গিয়ে কর্মচারীদের ওপর অত্যাচার শুরু করে। ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আরেকজনকে গলায় গামছা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টাও করে তারা। আর সেই ঘটনা থেকে সূত্রপাত হয় বচসার। পরবর্তীতে বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান এবং তার দলবল চারিদিক থেকে ভাটার শ্রমিকদের কে ঘিরে ধরে তাদেরকে বাস লাঠি এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাড়া করে।তাদেরকে বোম মেরে মেরে ফেলার এবং তাদের মুন্ডু কেটে নেওয়ার হুশিয়ারি দেন। এই ঘটনায় তিনি যথেষ্ট আতঙ্কিত তারা।শ্রমিকদের পাশে থেকে তাদের অভিযোগ শুনে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আনোয়ার হোসেন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপির বিরুদ্ধে।প্রাক্তন সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন,যদি তিনি প্রমাণ করতে পারেন সেখানে অন্য চাষীদের জায়গা রয়েছে তাহলে তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করবেন।

তবে নোংরা রাজনীতি না করার আহ্বান জানিয়েছেন আনোয়ার হোসেন মন্ডল। অপরদিকে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে গয়েশপুর(Gayeshpur) অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে চান তিনি। যেহেতু তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি তাই রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেও এবং তার ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করতে এবং তাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য এরকম কাজ করছে বিজেপি এমন অভিযোগ করেছেন আনোয়ার বাবু । যদিও আনোয়ার হোসেনের তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান। তিনি জানিয়েছেন, আনোয়ার হোসেন মন্ডল কোন শ্রমিকদের নিয়ে প্রতিবাদ করেননি। এলাকার মহিলাদেরকে টাকা পয়সা খাইয়ে সেখানে প্রতিবাদ করেছেন।গঙ্গার পাড়ের মাটি কেটে অন্যান্য গ্রামকে জলের তলায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। তবে ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠলেও গোটা ঘটনা তদন্ত করছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।যদিও আজ শ্রমিকদের প্রতিবাদ চলাকালীন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তৎসহ এলাকায় রীতিমতো টহল দিচ্ছে শান্তিপুর থানার(Shantipur P.S.) পুলিশ আধিকারিকরা।

Tags :
Shantipur Brickfield Labour AttackShantipur Police Station
Next Article