বিজেপির পার্টি অফিসে চলল চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি, ধস্তাধস্তি, মারামারি
নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা ভোট(Loksabha Election 2024) মিটে গেলেও তার রেশ রয়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এদিন সেই রেশই ধরা পড়ল কলকাতা(Kolkata) থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরে থাকা বারুইপুরের(Baruipur) বুকে। সেখানকার বিজেপির(BJP) পার্টি অফিস বা দলীয় কার্যালয়ে ভোট পাঠানো টাকা তছরুপের অভিযোগকে কেন্দ্র করে চলল দলেরই দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে মারামারি, গালাগালি, ধস্তাধস্তি মায় চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি। সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতে বেশি সময়ও নিল না। আর সামগ্রিক ভাবে এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল পদ্মশিবির। কেননা, বিজেপিতে ভোটের জন্য পাঠানো টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ নতুন কোনও ঘটনা নয়। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পরে এই অভিযোগ উঠেছিল, একুশের ভোটের পরে এই অভিযোগ উঠেছিল, এখন লোকসভা ভোটের পরেও সেই একই অভিযোগ উঠছে।
জানা গিয়েছে, বঙ্গ বিজেপির যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার মধ্যে থাকা বারুইপুরের ৩ তলা পার্টি অফিসে বৃহস্পতিবার বেলার দিকে এই ঝামেলার ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় ওই কার্যালয়ে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন দলেরই কিছু কর্মীরা। তাঁদের সামনেই চলে এই ন্যাক্কারজনক ঝামেলা। প্রচারের কাজে বরাদ্দ করা অর্থ তছরুপের অভিযোগকে কেন্দ্র ধুন্ধুমার বাধল সেখানেই। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্রের প্রচারে বরাদ্দ করা টাকার হিসাব করার জন্য বৈঠক ডাকা হয়েছিল এদিন। সেই বৈঠকই উত্তপ্ত হয়ে উঠল বরাদ্দ টাকা তছরুপের অভিযোগকে কেন্দ্র করে। একে অপরের সঙ্গে ধস্তাধস্তি-মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে পরে কেউ মুখ খুলতে চাননি। এই ঘটনা নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের একাংশও প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। যদিও ওই বৈঠকের ঘটনা বলেই দাবি করে একাধিক ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যেখানে চেয়ার ছোড়াছুড়ি এবং ধস্তাধস্তির ছবি দেখা যাচ্ছে।
বিজেপির যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনোরঞ্জন জোয়ারদার অবশ্য দলীয় কোন্দলের অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সভায় ফেন্সিং তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল একজনকে। যাঁকে বরাত দেওয়া হয়েছিল এবং যিনি দিয়েছিলেন এই দু’পক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল। তা নিয়েই কিছুটা অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এর মধ্যে দলীয় কোন্দলের কোনও ব্যাপার নেই। দু’পক্ষই দলের লোক। দলীয় ভাবে বসে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা হয়েছে।’ ঘটনার জেরে বারুইপুরের তৃণমুল নেতা গৌতম দাস বলেন, ‘‘বিজেপি মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন একটা পার্টি৷ বিশৃঙ্খলতা তৈরি করাই কাজ ৷ তাই রাজ্যের মানুষ এদের প্রত্যাখ্যান করেছেন৷’