সম্পত্তি হাতাতে বৃদ্ধ বাবা-মাকে মারধর, কাঠগড়ায় পুত্র-পুত্রবধূ
নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশে আইন আছে। আইনের রক্ষকেরাও আছেন। আছে আদালতও। তবুও সামাজিক ব্যাধি দূর হচ্ছে না। কমছে না বয়স্ক বাবা-মার প্রতি ছেলেমেয়েদের অবিচার, অত্যাচারের পালা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার বারুইপুর পুলিশ জেলার(Baruipur Police District) নরেন্দ্রপুর থানার(Narendrapur PS) খেয়াদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের উচ্ছেপোতা এলাকার বাসিন্দা দুলাল সিংহ এবং শান্তি সিংহ এবার ছেলে আর ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে(Against Son and Daughter in Law) সামনে এনেছেন সেই অত্যাচার আর অবিচারের অভিযোগ(Torture Complain)। শুধু তাই নয়, হয়তো কিছুটা বাধ্য হয়ে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করতেও বাধ্য হয়েছেন। কেননা শেষ জীবনটা তাঁরা আর মাথার ওপর ছাদ হারাতে চান না। আর সেটা চান না বলেই এখন তাঁদের মারধর আর হুমকির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সেই মারধর করা আর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুলাল-শান্তির মেজ ছেলে লখাই সিংহ এবং তাঁর স্ত্রী মেনকা সিংহের বিরুদ্ধে৷
জানা গিয়েছে, উচ্ছেপোতার বাসিন্দা দুলাল আর শান্তি প্রায় পুরো সম্পত্তি ছেলেদের নামে লিখে দিলেও বসতবাড়ি রেখেছেন নিজেদের নামে৷ সেই বসতবাড়িও যাতে লিখে দেওয়া হয়, তার জন্য তাঁদের মারধর করা শুরু করেছে লখাই আর তার বউ। অন্তত এখন এমনই অভিযোগ দুলাল আর শান্তির। ছেলে আর বউমার মারধরের হাত থেকে বাঁচতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন নরেন্দ্রপুর থানার দ্বারস্থ হতে। দুলাল বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন৷ এই অবস্থাতেও তাঁকে নিত্যদিন অত্যাচার করা হচ্ছে৷ ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে ছেলে এবং বৌমার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বৃদ্ধ দম্পতি৷
এ প্রসঙ্গে শান্তি এদিন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘আমাদের ঘর থেকে বার করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আগে সব সম্পত্তি ছেলেদের নামে দিয়ে দিয়েছে আমার স্বামী। এখন বাড়িটাও কেড়ে নিতে চাইছে। আমার স্বামী অসুস্থ। আমার মেজো ছেলে আর বৌমা বলছে, বাড়ি লিখে দিলে তবেই দেখবে। সঙ্গে মারধর, অত্যাচার করছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশই যা ব্যবস্থা করার করুক।’ শান্তির আরও অভিযোগ, প্রতিবেশী এক পরিবারকেও ডেকে নিয়ে এসে তাঁদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে ছেলে আর বউমা। তাই তাঁরা বাধ্য হয়েছেন পুলিসের কাছে অভিযোগ জানাতে। সেই সঙ্গে ছেলে আর বউমার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা৷ তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ৷