‘Sorry বাবা, আমি JEE পরীক্ষায় বসতে পারব না’, লিখে কোটায় ফের আত্মঘাতী পড়ুয়া
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কোটায় অব্যাহত ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা। শুক্রবার রাজস্থানের কোটায় জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন (জেইই) পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। জানা গিয়েছে, বিহারের ভাগলপুর জেলার বাসিন্দা ওই ছাত্র। তাঁর নাম অভিষেক কুমার। সে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কোটায় আসে। অভিষেক বিজ্ঞান নগর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। এদিন সকালে সে নিজের ঘরে বিষাক্ত দ্রব্য সেবন করে আত্মহত্যা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিষেকের ঘর থেকে একটি বিষাক্ত পদার্থের বোতল এবং একটি আত্মহত্যার চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে।সুইসাইড নোটে লেখা ছিল, "সরি বাবা, আমি জেইই পরীক্ষা দিতে পারছি না ।“ পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে, অভিষেক যথাক্রমে ২৯ শে জানুয়ারি এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি তার কোচিংয়ে নির্ধারিত দুটি পরীক্ষায়ও অনুপস্থিত ছিল। ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
এই নিয়ে চলতি বছর মোট ৬টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হোস্টেলের রুম থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় আইআইটি পরীক্ষার্থী শুভ চৌধুরীর দেহ। জেইই মেইনের ফলপ্রকাশ আশানুরুপ না হওয়ায় আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় ওই পড়ুয়া । এছাড়াও গত ২ রা ফেব্রুয়ারি রাজস্থানের কোটায় পেয়িং গেস্ট রুমে আত্মঘাতী হয়েছিল বিটেকের ফাইনাল ইয়ার এক পড়ুয়া। পুলিশ সূত্রে জানা যায় ওই পড়ুয়ার নাম নূর মহম্মদ।
উল্লেখ্য, তৎকালীন অশোক গেহলট সরকার ২০২৩ সালে কোচিং সেন্টারগুলিকে এই জাতীয় দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা রোধে শিক্ষার্থীদের চাপ কমাতে সহায়তা করার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছিল। কোচিং সেন্টারগুলির জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। এর মধ্যে রয়েছে ১৬ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা এবং শিক্ষার্থীদের বিনোদন নিশ্চিত করার নির্দেশনা। আর এই নির্দেশিকার মাঝেই ফের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল কোটায় । জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে কোটায় ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে গিয়ে আত্মহত্যা করেছে মোট ২৬ জন পড়ুয়া। তবে বারবার কেন এমন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।