রাজ্যের সব পুরসভায় মা ক্যান্টিন চালু করতে উদ্যোগী হল ফিরহাদের দফতর
নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার নবান্নের সভাঘরে রাজ্যের হকার সমস্যার সমাধানের লক্ষ্য উচ্চপর্যায়ের এক প্রশাসনিক বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন রাজ্যের প্রত্যেক পুর এলাকায় মা ক্যান্টিন(Maa Canteen) চালু করতে। রাজ্যের প্রতিটি বাজার এলাকা বা হকিং জোনে মা ক্যান্টিন চালুর নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেই নির্দেশ মেনেই এবার ফিরহাদ হাকিমের(Firhad Hakim) পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর(Urban Development and Municipal Affairs Department) বাংলার(Bengal) প্রতিটি পুরসভা এলাকায় এবং রাজ্যের প্রতিটি বাজার এলাকা বা হকিং জোনে মা ক্যান্টিন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়িত হলে সব থেকে বেশি লাভবান হবেন নিম্নবিত্তের মানুষজন।
সূত্রের খবর, রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে বাংলার প্রতিটি পুরসভাকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, ওই সব পুরসভা এলাকায় কতগুলি বাজার রয়েছে এবং সেখানে মা ক্যান্টিন খোলার মতো জায়গা পাওয়া যাবে কিনা তা শীঘ্রই জানাতে হবে। বছর খানেক আগে হওয়া একটি সমীক্ষায় রাজ্যের পুর এলাকায় প্রায় ১১০০ বাজার আছে বলে উঠে এসেছিল। বর্তমানে রাজ্যে কতগুলি বাজার রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তা চিহ্নিত করা হবে। মা ক্যান্টিনের সংখ্যা বাড়াতেই এই প্রক্রিয়া বলে জানা গিয়েছে। মূলত, মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের দিয়ে চালানো হয় মা ক্যান্টিন। জোর দেওয়া হয়েছে পরিচ্ছন্নতার দিকেও। নতুন করে যে ক্যান্টিনগুলি হবে বিভিন্ন বাজার এলাকায়, সেখানেও পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি চালু হয়েছিল মা ক্যান্টিন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এই ক্যান্টিনগুলি থেকে মাত্র ৫ টাকায় পরিবেশন করা হয় ডিম-ভাত। হিসেব বলছে, মা ক্যান্টিন থেকে বাংলার বুকে এখনও প্রর্যন্ত ৫ কোটি ৩০ লক্ষ প্লেট ডিম-ভাত বিক্রি হয়েছে। ২০২০-২১ সালে মাত্র ৩২টি ক্যান্টিন নিয়ে চালু হয়েছিল এই প্রকল্প। ২০২১-২২ সালে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ২১২। বর্তমানে রাজ্যে মা ক্যান্টিনের সংখ্যা ৩৩০। এর মধ্যে অনেকগুলি রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। এখন যেহেতু রাজ্যের প্রতিটি পুরসভা এলাকায় এবং রাজ্যের প্রতিটি বাজার এলাকা বা হকিং জোনে মা ক্যান্টিন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে তাই রাজ্যে সামগ্রিক ভাবে মা ক্যান্টিনের সংখ্যাও অনেকটাই বেড়ে যেতে চলেছে।