OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

বাংলার সব হাসপাতালে Heat Stroke Ward খোলার নির্দেশ স্বাস্থ্যভবনের

রাজ্যের সব হাসপাতালে বাধ্যতামূলক ভাবে Heat Stroke Ward খোলার নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে আমজনতাকেও।
09:40 AM Apr 20, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বৈশাখের প্রথম সপ্তাহেই বাংলার ১৮টি জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি উঠে যাচ্ছে। খাস কলকাতাতেও(Kolkata) দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করে গিয়েছে। শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের(South Bengal) সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এই অবস্থায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর(West Bengal State Health Department) যেমন রাজ্যের বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে, তেমনি রাজ্যের সব হাসপাতালে(Hospitals) বাধ্যতামূলক ভাবে Heat Stroke Ward খোলার নির্দেশ জারি করেছে। কেননা দেখা যাচ্ছে গত কয়েকদিনে গরমের কারণে বহু মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে যেমন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তেমনি, হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

গতকাল খাস কলকাতায় পারা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এদিন অর্থাৎ শনিবার তা ৪১ ডিগ্রি পার করে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে। সেখানে পারা ছুঁয়ে ফেলেছে ৪৪ ডিগ্রি যা স্বাভাবিকের থেকে ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এদিন তা ৪৫ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকছে। বাঁকুড়ায় গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। পুরুলিয়ায় ছিল ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বীরভূমের শ্রীনিকেতনে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলার সদর শহর সিউড়িতে দিনের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলে ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার কলকাতার পাশেই থাকা দমদম এবং সল্টলেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪০ ডিগ্রির ওপরেই। দমদমে শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সল্টলেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার সুন্দরবন ঘেঁষে থাকা ক্যানিংয়ে পারা চড়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

কার্যত প্রখর গরমে জেরবার রাজ্যবাসী। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বাড়ির বাইরে বেরোনোই দুষ্কর। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার রাজ্যের প্রত্যেক হাসপাতালে Heat Stroke’র জন্য পৃথক Ward খোলার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। সেখানে রোগীদের জন্য কী কী ব্যবস্থা রাখতে হবে, সেই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই Ward-এ একটি ঘরে ন্যূনতম ২টি বেড সংরক্ষিত রাখতে হবে। সেই ঘরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বা হাইস্পিড পাখার ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া, ভিজে তোয়ালে, পর্যাপ্ত ঠান্ডা জল, বরফ, রেক্টাল থার্মোমিটার, আপৎকালীন পরিস্থিতির বিভিন্ন ওষুধ, Portable ECG Machine প্রভৃতি অবশ্যই রাখতে হবে।

Heat Stroke-এ আক্রান্ত কোনও রোগী এলে প্রথমেই তাঁর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করতে হবে। সেক্ষেত্রে ঠান্ডা জল কিংবা বরফ দেওয়া জলে রোগীকে স্নান করিয়ে দিতে হবে। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে পরবর্তী চিকিৎসা দিতে হবে রোগীকে। একই সঙ্গে রাজ্যের সব স্বাস্থ্য জেলাকে বলা হয়েছে, প্রতিদিন কোন জেলায় কতজন গরমজনিত অসুস্থতার শিকার হচ্ছেন এবং তাঁদের কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তার রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্সকে হিট স্ট্রোক রোগীদের জন্য প্রস্তুত রাখার কথা জানানো হয়েছে প্রতিটি স্বাস্থ্য জেলাকে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ার পাশাপাশি ন্যূনতম চিকিৎসা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো থাকতে হবে ওই অ্যাম্বুলেন্সে।   

Tags :
Heat Stroke WardHospitalsKolkataSouth Bengal.West Bengal State Health Department
Next Article