বিদ্যুতের খরচ বাঁচাতে সরকারি দফতর থেকে স্কুল মায় অফিসেও পদক্ষেপ
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের একের পর এক দফতরের নাকি লাখ লাখ টাকার বিদ্যুতের বিল বাকি। আর সেই বিল বকেয়ার খবর মুখ্যমন্ত্রীর(Chief Minister of West Bengal) কানে যেতেই নেমে এসেছে নয়া নির্দেশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) জানিয়ে দিয়েছেন, প্রত্যেক দফতরকে বাজেটে কাটছাঁট করে বিদ্যুতের বিল মেটাতে হবে। একই সঙ্গে বিদ্যুতের বিল(Electricity Bill) যাতে না বাড়ে তার জন্য মান্ধাতা আমলের বাল্ব-টিউব খুলে ফেলে সেখানে এলইডি লাইট লাগাতে হবে। অফিসে কেউ না থাকলে বন্ধ রাখতে হবে এসিও। অল্প কর্মী থাকলে শীতাতপ যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রশাসনিক বৈঠকে গত পরশু। সেই নির্দেশের পরে পরেই এবার রাজ্যের একাধিক দফতর এই মর্মে বিদ্যুত খরচ নিয়ে নির্দেশিকা জারি করে দিল। শুধু বিদ্যুৎ খরচই নয়, অফিসের অন্যান্য ‘বাজে খরচ’-এও রাশ টানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারি ভাবে। প্রতিটি নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কিনা, তা দেখার জন্য একজন নোডাল অফিসারকে(Nodal Officer) দায়িত্ব দিচ্ছে রাজ্যের পূর্ত দফতর(Public Works Department)। একই পথে হেঁটেছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরও। বিভিন্ন স্কুলে বিদ্যুতের খরচ কমানোর কথা বলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক রিভিউ বৈঠকে সরকারি অফিসে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ নিয়ে আধিকারিকদের ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাতেই এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করে পূর্ত দফতর। ওই দফতরের অফিসারদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তালিকা পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়েছে, লিখিত নির্দেশ খুব শিগগিরই পাঠানো হবে। সব দফতরের নির্দেশ কার্যত এক। তাতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য খরচে রাশ টানাকেই মূল লক্ষ্য করতে হবে। অফিসে কেউ না থাকলে আলো-পাখা যাতে না চলে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এসি যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল এবং এলইডি লাইট ব্যবহার করতে হবে। তবে সিসিটিভিকে এই সব নিয়মের আওতায় আনা হয়নি। রাজ্যের পূর্ত দফতরের নির্দেশে ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে প্রতিটি ডিভিশনে এক জন করে নোডাল অফিসারকে দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে। তাঁরা নির্দেশগুলি ঠিকমতো মানা হচ্ছে কিনা সেটা দেখবেন। এই বিষয়ে কারওর কোনও প্রস্তাব থাকলে তাঁরা অফিসের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করতে পারেন।