দক্ষিণবঙ্গে তৃণমূলের পক্ষে অটুট সংখ্যালঘু ভোট, বাজিমাত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের
নিজস্ব প্রতিনিধি: অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহারে তৃণমূলের কাছে হেরে গেলেও সামগ্রিকতার বিচারে উত্তরবঙ্গে এবারেও অটুট থাকছে গেরুয়া ঝড়। সেখানকার ৮টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬টি তাঁদের দখলেই থেকে গেল। সেখানে তৃণমূলের স্বপক্ষে খুব একটা গেল না সংখ্যালঘু ভোট এবং লক্ষ্মীর ভান্ডারের ম্যজিক। অথচ দক্ষিণবঙ্গে সংখ্যালঘু ভোট(Minority Vote Bank) ব্যাঙ্ক কার্যত পুরোপুরি একচেটিয়া ভাবেই থেকে গেল তৃণমূলের(TMC) দখলে। একই সঙ্গে সেখানে ভেলকি দেখাচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডারও(Lakhir Bhandar)। তথ্য বলছে উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণবঙ্গের(South Bengal) ৩৪টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি(BJP) পেয়েছিল ১১টি আসন। কিন্তু এবারে সেই ১১টি আসনের মধ্যে তাঁরা ৭টি আসনেই হেরে গিয়েছে বা হারছে। এর নেপথ্যে কাজ করেছে সেই সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক এবং লক্ষ্মীর ভান্ডারের ভেলকি। তবে তৃণমূল উনিশের ভোটে কাঁথি ও তমলুকে জয়ী হলেও এবার সেই দুই আসনে এগিয়ে থাকছে বিজেপি। বিষ্ণুপুর, পুরুলিয়া, রানাঘাট ও বনগাঁতে এগিয়ে থাকছে বিজেপিই।
তৃণমূলের জন্মের সময় থেকেই দলের সব থেকে বড় সহায় ছিল এবং আছে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক। এবারেও এই ২৪’র ভোটেও সেই সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলের পাশেই থেকে গেল। উত্তরবঙ্গে সেই ভোট ব্যাঙ্ক পুরোপুরি তৃণমূলে পক্ষে না থাকলেও দক্ষিণবঙ্গে তা থেকে গেল তৃণমূলের পাশেই। আর তার জেরে এবারে তৃণমূল দক্ষিণবঙ্গে ২৮টি কেন্দ্রে হয়ে এগিয়ে আছে নাহয় জিতে গিয়েছে। তৃণমূলের এই দক্ষিণবঙ্গ জয়ের নেপথ্যে কাজ করেছে লক্ষ্মীর ভান্ডারও। কিন্তু উত্তরবঙ্গে কেন লক্ষ্মীর ভান্ডার সেভাবে কাজ করল না তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই যা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে ভাবতেই হবে। কেননা মাত্র ২ বছরের মাথাতেই আছে বিধানসভার নির্বাচন। বিজেপি তখন কিন্তু প্রাণপণ চেষ্টা করবে উত্তরবঙ্গের ৫৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে অন্তত ৪০টি বিধানসভা কেন্দ্রে জিততে, আর যদি তা সম্ভব হয় তাহলে আবারও কিন্তু পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্য গঠনের ডাক উঠবে। বিঘ্নিত হবে উত্তরবঙ্গের শান্তি ও শৃঙ্খলা। বিঘ্নিত হবে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন। একই সঙ্গে প্রশ্ন থাকছে পাহাড়কে নিয়েও। সেখানেও কাজ করেনি লক্ষ্মীর ভান্ডার বা সংখ্যালঘু ইস্যু।