OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

বংশপরম্পরায় থাকা বাড়িতে চা-শ্রমিকদের পরিবারকে পাট্টা দিতে সমীক্ষা

চা শ্রমিকেরা বংশপরম্পরায় শ্রমিক লাইনের যে বাড়িতে বসবাস করছেন, সেখানকার জমিরই পাট্টা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
10:13 AM Jan 20, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google and Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার উত্তরবঙ্গের(North Bengal) ৬টি জেলার চা-বাগানের শ্রমিকদের(Tea Garden Workers) বসত বাড়ির জমির পাট্টা(House Land Patta) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই কাজ ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গিয়েছে। এতদিন চা বাগানের উদ্বৃত্ত জমিতে পাট্টা দেওয়া হয়েছে। এবার চা শ্রমিকেরা বংশপরম্পরায় শ্রমিক লাইনের যে বাড়িতে বসবাস করছেন, সেখানকার জমিরই পাট্টা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় শুরু হয়েছে সেই সংক্রান্ত সমীক্ষা। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে একপ্রস্ত এই নিয়ে আলোচনা করেছে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে শ্রমিক সংগঠনগুলি কোনও আপত্তি তো করেইনি, উল্টে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগতও জানিয়েছে। তবে চা বাগানের পরিচালকদের একাধিক সংগঠন এ নিয়ে আপত্তি এবং প্রশ্ন তুলেছে। যদিও সেই আপত্তি এবং প্রশ্ন সবটাই আলোচনার স্তরে রয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।  

চা বাগানে পাট্টা দেওয়া হবে বলে বেশ কয়েক বছর ধরেই জানিয়ে আসছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নিজে  একাধিকবার উত্তরবঙ্গ সফরে এসে পাট্টা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। তাঁর সেই প্রতিশ্রুতি মতন গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই প্রতীকী পাট্টা বিলি শুরু হয়েছে। সে পাট্টা দেওয়া হয়েছে চা বাগান লাগোয়া অথবা চা বাগানের উদ্বৃত্ত জমিতে। এ বার সরাসরি শ্রমিকেরা যে জমিতে এত দিন ধরে বাস করছেন, সেই জমিরই পাট্টা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। গত সপ্তাহের শেষে রাজ্য এ নিয়ে নির্দেশিকাও জারি করেছে। তবে এক্ষেত্রে চা বাগানের মালিক পক্ষের(Tea Garden Owners) প্রশ্ন, চা বাগিচা আইনে শ্রমিকদের আবাসন দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। সে আবাসন চা বাগানের জমিতেই দিতে হয়। চা বাগানের জমি পাট্টা হিসেবে দেওয়া হলে, সেই জমি শ্রমিকের নামে হয়ে যাবে। অর্থাৎ, সেই জমি আর চা বাগানের মালিকের থাকবে না। তখন চা বাগিচা আইন মেনে সেই জমিতে কী করে বাগান কর্তৃপক্ষ আবাসন তৈরি করবে, এখন এই প্রশ্ন তুলছেন চা বাগানের মালিকেরা।

চা বাগানের মালিকদের দাবি, রাজ্য সরকার যা করছে তাতে করে কেন্দ্রীয় আইন সংশোধন করতে হবে। কারণ, চা বাগানের শ্রমিকদের আবাসন না দিলে কেন্দ্রীয় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠতে পারে চা বাগানের মালিকদের বিরুদ্ধে। শ্রমিকেরা যেখানে বসবাস করেন, সে জমির পাট্টা দিতে গেলে একাধিক আইনের সমন্বয় করতে হবে। যদিও রাজ্য প্রশাসনের দাবি, আপাতত সমীক্ষার কাজই শুরু হয়েছে। পাহাড়েও চা বাগানের জমিতে পাট্টা দেওয়া নিয়ে মালিকপক্ষের তরফে আপত্তি তোলা হয়েছিল। আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান হয়েছে। পাহাড়ের চা বাগানের জমিরও সমীক্ষা হয়েছে। তবে ডুয়ার্সে, অর্থাৎ জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার মিলিয়ে অন্তত সাড়ে ৫ লক্ষ চা শ্রমিক রয়েছেন। চা শ্রমিকেরা যেখানে বসবাস করেন সেই জমিতে পাট্টা দেওয়ার বিষয়ে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই সমস্যার সমাধান করা হবে।

Tags :
House Land PattaMamata Banerjeenorth bengalTea Garden OwnersTea Garden Workers
Next Article