স্বরূপনগরে নগরের যুবক খুনে প্রেমিকা সহ বন্ধু গ্রেফতার
নিজস্বপ্রতিনিধি,স্বরূপনগর:প্রেমিক প্রেমিকার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল প্রেমিকার,আত্মহত্যাতে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার প্রেমিকা ও তার বন্ধু।মোবাইলে ডেকে এনে প্রেমিককে নাকি খুন করে প্রেমিকা। পুলিশের জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য।উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানার(Swarupnagar P.S.) সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোলা এলাকায় বছর ৩২ - এর দেবতু বৈরাগীর গাছে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল ইছামতি নদীর পাড় থেকে। শনিবার সকালবেলায় স্থানীয় কৃষক ও মৎস্যজীবীরা ওই যুবককে ঝুলন্ত অবস্থায় গাছের ডালে দেখতে পায়। মৃতদের পাশ থেকে মদের বোতল ও একটি বাইক উদ্ধার হয়।মৃত যুবকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবকের বাড়ি বনগাঁর গাইঘাটা থানার(Gaighata P.S.) পোতাপাড়া গ্রামে । স্বরূপনগর থানার পুলিশ আধিকারিক প্রতাপ মোদকের উদ্যোগে পুলিশের একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়।মৃত যুবকের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট পরীক্ষা ও তার ভিডিও ছবি দেখে অনেক তথ্য জানতে পারে পুলিশ। স্বরূপনগর এর সগুনা এলাকায় বছর ৩৩ এর গৃহবধূ লতা ঢালি তাকে মোবাইল ফোনে গভীর রাত্রে ডেকে আনে বাড়ি থেকে। এক জায়গায় বসে ওই যুবকের বন্ধু প্রশান্ত হালদার ও লতা ঢালী মদের আসর বসায়। সেখানে অশ্লীল ভিডিও(Video) চালিয়ে নিজেরা দেখতে শুরু করে। আর তাই নিয়ে বসচা শুরু হয় ।মৃত প্রেমিক দেবতুকে মদ খাইয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয় গৃহবধূ ও তার বন্ধু প্রতাপ।
এমনকি ওই গৃহবধূ ও প্রেমিকের অন্তরঙ্গে ছবি তুলে প্রায় ব্ল্যাকমেইল করতে বলে পুলিশ তদন্তে জানতে পারে। মৃত যুবকের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে স্বরুপনগর থানার পুলিশ প্রেমিকা লতা ঢালী ও বন্ধু প্রশান্ত হালদারকে গ্রেফতার করে।পুলিশের জেরায় তারা স্বীকার করে তাকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে। মৃত যুবকের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিকা লতা ও বন্ধু প্রশান্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের রবিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তাদের ১৪ দিনের পুলিশের হেফাজতের নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ বিচারকের কাছে।