অশোকনগর ও মোহনপুরে ছেলে ধরা সন্দেহে যুবক-যুবতীদের গণপিটুনি, আক্রান্ত পুলিশও
নিজস্ব প্রতিনিধি,অশোকনগর ও মোহনপুর: শিশু পাচারকারী সন্দেহে যুবতীকে মারধর। ঘটনাটি অশোকনগর থানার(Asoknagar P.S.) ভুরকুন্ডা পঞ্চায়েতের পুমলিয়া এলাকার। এলাকায় উত্তেজনা । পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে মারমুখী হয়ে ওঠে জনতা। এক পুলিশ কর্মীকে মারধর।পরবর্তীতে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে মৃদু লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, উদ্ধার করা হয় মহিলাকে । মহিলার কাছে থাকা আধার কার্ড থেকে জানা গিয়েছে তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা। তবে কি করে তিনি এখানে এলেন তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছেন।ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে অশোকনগর থানার পুলিশ।
বারাসত দত্তপুকুরের (Duttapukur)পর অশোকনগরে শিশু পাচারকারীর সঙ্গে মারধরের ঘটনা। পুলিশের পক্ষ থেকে দুদিন ধরে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে তারপরেও এই ঘটনা। এই নিয়ে আমরা কথা বলেছিলাম ভুরকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের সাথে তিনি জানান ছেলে ধরার সন্দেহে তাকে আটক করা হয়েছিল ।মারধর করা হয়নি পাশাপাশি পুলিশকে মারধর বা মারমুখী জনতার ঘটনা নিয়ে অস্বীকার করে। অশোকনগর পৌরসভার(Asoknagar Municipality) চেয়ারম্যান প্রবোধ সরকার জানান, পুলিশকে মারধর করা হয়েছে, এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। অন্যদিকে,আবারো ছেলে ধরা সন্দেহ করে এক যুবককে বেধরক মারধর।মেলার মধ্যে ছেলে ধরা সন্দেহে বেধড়ক পিটুনি দেওয়া হল এক যুবককে। পাতুলিয়া পঞ্চায়েতের বাসিন্দা নাজির হোসেন বয়স ৩২ বছর।
ঈদ উপলক্ষে মেলায় এসেছিলো মোহনপুর পঞ্চায়েতের কাঠালিয়ায় । মেলায় ঘোরাঘুরি করার সময় সেখানে কয়েকজন যুবক তাকে ঘিরে ধরে এবং বলে তুই এলাকার বাচ্চা চুরি করতে এসেছিস। এরপরই শুরু হয় গণপ্রহার গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে বারাকপুর বি এন বসু হসপিটাল ও পরে কলকাতা আর জি করের স্থানান্তরিত করা হয়েছে অবস্থা গুরুতর। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই নাজিরের এলাকার লোকজন খবর পেয়ে মোহনপুর থানায়(Mohonpur P.S.) এসে বিক্ষোভ দেখায় এবং অভিযোগ দায়ের করে। দোষীদের শাস্তি দাবি করে।এলাকার লোকের দাবি ভালো একটা ছেলেকে এভাবে ছেলে ধরা অপবাদ দিয়ে মারধর করা হলো এটা মেনে নেওয়া যায় না। এলাকার উত্তেজনা থাকার পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।