OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

মালগাড়ির চালকের ত্রুটিতেই দুর্ঘটনা, দাবি রেলের, তবুও থাকছে প্রশ্ন

এদিন যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তাতে প্রাথমিক ভাবে রেলের তরফে মালগাড়ির চালককে দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে।
01:09 PM Jun 17, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: সোম সকালে উত্তরবঙ্গের(North Bengal) রাঙাপানি স্টেশনের(Rangapani Station) কাছে ঘটে গিয়েছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা(Kanchanjunga Express Accident)। লাইনে সিগন্যালের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা আগরতলা থেকে শিয়ালদামুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে কন্টেনার বোঝাই মালগাড়ি। সেই দুর্ঘটনা এদিন নতুন করে গত বছরের এই জুন মাসেই ঘটে যাওয়া ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার কথা যেমন মনে করিয়ে দিচ্ছে, তেমনি তুলে ধরেছে একাধিক প্রশ্ন। সেই প্রশ্ন যাত্রী নিরাপত্তার। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্তও হয়েছিল। সেই তদন্তের রিপোর্টে উঠে আসে রেলকর্মীর গাফিলতি এবং সিগন্যাল বিভ্রাটের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এদিন যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তাতে প্রাথমিক ভাবে রেলের তরফে মালগাড়ির চালককে দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। তবে তার পরেও বেশ কিছু প্রশ্ন কিন্তু থেকে যাচ্ছে। কী ভাবে ঘটল এত বড় দুর্ঘটনা? যান্ত্রিক গোলযোগ না কি সিগন্যাল বিভ্রাট? না কি আবারও গাফিলতিই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কারণ? এতসব প্রশ্ন ঘুরছে এদিন বাংলা থেকে দেশজুড়ে।

সোমবার সকালে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। তার মাঝেই ঘটেছে দুর্ঘটনা। সূত্রে জানা গিয়েছে, সিগন্যাল লাল থাকায় নীচবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে দাঁড়িয়েছিল শিয়ালদামুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। তখন সেই লাইনেই এসে পড়ে একটি মালগাড়ি। সজোরে তা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে। সেই ধাক্কার অভিঘাতে গার্ডের কামরা দু টুকরো হয়ে প্রায় ৫০মিটার দূরে ছিটকে পড়ে। যারা এই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে বা আহত হয়েছেন তাঁদের সবাই এই কামরার যাত্রী ছিলেন। গার্ডের কামরার পরে ছিল দুটি পার্সেল ভ্যান। ধাক্কার অভিঘাতে গার্ডের কামরার লাগোয়া একটি পার্সেল ভ্যান খেলনার মতো মালগাড়ির ইঞ্জিনের ওপর উঠে যায়। ওপর পার্সেল ভ্যানটি ক্ষতিগ্রস্থ হলেও ধাক্কার অভিঘাত সামলে নেয়। আর তার জন্যই মূল ট্রেনটি সেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। তবে রেলের তরঅহে জানানো হয়েছে শিয়ালদামুখী কাঞ্চনগঙ্ঘা এক্সপ্রেসের মোট ৫টি কামরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেই ৫টি কামরা বাদ দিয়ে ট্রেনটিকে নিয়ে আসা হচ্ছে আলুয়াবাড়ি রোড স্টেশনে। সেখানে গোটা ট্রেনটি পরীক্ষা করে দেখা হবে। সেই পরীক্ষার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ট্রেনটিকে শিয়ালদায় নিয়ে আসা হবে কী হবে না।  

কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল? রেলের প্রাথমিক অনুমান, লাল সিগন্যাল দেখতে পাননি মালগাড়ির চালক। সেই কারণেই একই লাইনে এসে যায় সেটি। সাধারণত যে লাইনে এক্সপ্রেস ট্রেন চলে, সেই লাইনে মালগাড়ি চালানো হয় না। মালগাড়িকে দাঁড় করিয়ে পাস করানো হয় এক্সপ্রেস। এ ক্ষেত্রে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনেই ছিল মালগাড়িটি। একই লাইনেই দু’টি ট্রেন পাস করানোর পরিকল্পনা ছিল রেলের। তবে আগে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে শিয়ালদার উদ্দেশে রওনা করিয়ে দিয়ে তার পর মালগাড়িকে পাস করানোর কথা। সেই কারণেই মালগাড়িকে লাল সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। রেলের অনুমান, মালগাড়ির চালক ওই সিগন্যাল দেখতে পাননি। ফলে একই লাইনে এসে পড়ে মালগাড়িটি। ধাক্কা মারে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। এ ক্ষেত্রে আরও একটি প্রশ্ন প্রকাশ্যে আসছে। এখন যে কোনও রেল ইঞ্জিনে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা থাকে। ইঞ্জিনের সামনে নির্দিষ্ট কোনও দূরত্বে যদি কোনও ট্রেন বা অন্য কিছু থাকে, তবে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই ওই ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়বে। একে ‘কবজ’ বলা হয়। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে মালগাড়ির ইঞ্জিনে কি সেই ব্যবস্থা ছিল না? যদি থেকে থাকে তাহলে তা কাজে দিল না কেন?

রেল সূত্রে খবর, পুরো ঘটনার উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করে দেখা হবে। প্রথম কাজ সফল ভাবে উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করা। ঘটনাস্থল থেকে দার্জিলিং পুলিশের অ্যাডিশনাল এসপি অভিষেক রায় জানিয়েছেন, ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে মালগাড়ি ধাক্কা মেরেছে। পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৫ থেকে ৩০ জন আহত। সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’ তবে বেসরকারি ভাবে মৃতের সংখ্যা জানানো হচ্ছে ১৫। আহতের সংখ্যা ৬০। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। গ্যাসকাটার থাকলেও আপাতত তা ব্যবহার করা হচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরাই বগি কেটে ভিতরে কেউ আটকে আছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে। আহতদের উদ্ধার করে মাটিগাড়ার উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রেলের তরফে শিয়ালদা, হাওড়া, গুয়াহাটি, লামডিং, কিষাণগঞ্জ, নিউ বনগাইগাঁও-সহ একাধিক স্টেশনে হেল্পডেস্ক খোলা হয়েছে। এছাড়া রেলের তরফে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স।

Tags :
Kanchanjunga Express Accidentnorth bengalRangapani Station
Next Article