ভোর ৫টা ৫০ মিনিট থেকেই বিকল ছিল স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা
নিজস্ব প্রতিনিধি: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার(Kanchanjungha Express Accident) পিছনে সঠিক কারণ কী? এই প্রশ্ন নিয়ে যখন দিনভর নানা চ্যানেলে চ্যানেলে তর্কের ঝড় উঠেছে ঠিক তখনই রেল সূত্রে এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে চলে আসছে। যদিও সরকারি ভাবে সেই ঘটনা এখনও রেলের(North Eastern Frontier Railway) তরফে স্বীকারই করা হচ্ছে না। ঠিক যেমনটি এদিনের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা নিয়ে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি রয়েছে, ৯ নাকি ১৫, ঠিক তেমনই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বা তৈরি করে রেখে দেওয়া হয়েছে দুর্ঘটনার সঠিক কারণকে ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন ভোর ৫টা ৫০ মিনিট থেকেই নাকি স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা(Automatic Signaling System) খারাপ(Deactivate) হয়ে পড়েছিল। যার দরুণ রেলকে পুরাতন পদ্ধতিতে ট্রেন চালাতে হচ্ছিল। আর সেই পদ্ধতি সম্পর্কে জানতেনই না মালগাড়ির চালক। যার জেরে একই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিয়ালদামুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে সজোরে ধাক্কা দেয় কন্টেনার বোঝাই ওই মালগাড়ি। সেই ধাক্কার অভিঘাতেই এক্সপ্রেস ট্রেনটির গার্ডের কামরাটি দুই ভাগে ভাগ হয়ে ৫০ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে তালগোল পাকিয়ে যায়।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলপথে স্বয়ংক্রিয়া সিগন্যালিং ব্যবস্থা কার্যকর হয়ে গেলেও এদিন ভোর ৫টা ৫০মিনিট থেকেই তা বিকল হয়ে পড়েছিল। এই অবস্থায় রেল ফিরে গিয়েছিল পুরাতন সিগন্যালিং পদ্ধতিতে। সেই পদ্ধতি অনুসারে, ১৩১৭৪ ডাউন যা আগরতলা থেকে আসা শিয়ালদামুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের নম্বর, রাঙাপানি স্টেশনে সেখানকার স্টেশন মাস্টার TA-912 নামে একটি লিখিত নোট দিয়েছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘার ইঞ্জিনের ড্রাইভারকে। এই নোটের মাধ্যমে সামনে থাকা সব লাল সিগন্যাল পার হয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘার ইঞ্জিনের চালককে। সেই সিগন্যাল নিয়ে সকাল ৮টা ২৭ মিনিটে রাঙাপানি স্টেশন থেকে শিয়ালদার পথে রওয়ানা দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস।
সেই পথে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে আস্তে যেতে বলা হয়েছিল। কাঞ্চনজঙ্ঘা সেভাবেই যাচ্ছিল। কিন্তু মালগাড়ির চালক রাঙাপানি স্টেশনে সিগন্যাল ফেল করায় বেশ জোরেই সেই ট্রেন চালিয়ে এগোতে থাকেন ও কিছুক্ষণের মধ্যে কাঞ্চনজঙ্ঘার পিছন দিকে সজোরে ধাক্কা মারেন। আর এই ঘটনা সামনে আসার পরে এখন প্রশ্ন উঠেছে, যেক্খানে ভোর থেকে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা খারাপ হয়ে পড়েছিল, সেখানে কেন আরও সাবধনতা অবলম্বন করা হয়নি? কেনই বা মালগাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি? রেল অবশু এই বিষয়ে না কিছু স্বীকার করেছে না কিছু জানিয়েছে।