For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

বাংলার ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রকেই ‘আর্থিকভাবে স্পর্শকাতর’ ঘোষণা কমিশনের

বাংলার ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রকেই আর্থিকভাবে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা কমিশনের। কয়েকটি আসনকে আবার আর্থিকভাবে অতি স্পর্শকাতর বলেও চিহ্নিত করা হয়েছে।
09:39 AM Mar 19, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
বাংলার ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রকেই ‘আর্থিকভাবে স্পর্শকাতর’ ঘোষণা কমিশনের
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা(Bengal) থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১৮ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সেটাই বেড়ে হয় ৪৪ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছিল ১১৮ কোটি ৪ লক্ষ টাকা। এই অঙ্কটাই ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বেড়ে হয় ৩০০ কোটি ১১ লক্ষ টাকা। আর তাতেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের(ECI) মনে হয়েছে, বাংলা আর্থিকভাবে স্পর্শকাতর(Financially Sensitive)। অতএব যেমন ভাবা, তেমন কাজ। বাংলার ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রকেই(42 Constituency) আর্থিকভাবে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করে দিয়েছে কমিশন। গপ্পো শুধু এখানেই থেকে থাকেনি। রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে বেশ কয়েকটি আসনকে আবার আর্থিকভাবে অতি স্পর্শকাতর বলেও চিহ্নিত করেছে কমিশন। অর্থাৎ, ওই কেন্দ্রগুলিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বাড়তি নজর থাকবে। তবে এই বাড়তি নজরদারি নিয়ে রীতিমত আপত্তি আছে পদ্মশিবিরের। কেননা, উনিশের লোকসভা নির্বাচন এবং একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মাটিতে পদ্মশিবিরের উত্থানের সঙ্গে টাকা উদ্ধারের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে কমিশন। আর তাই এবার লোক সভা নির্বাচনের সময় বাংলার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ১জন করে ‘অতিরিক্ত ব্যয় পর্যবেক্ষক’(Additional Cost Monitor) নিয়োগ করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, আসানসোল, বনগাঁ, মালদা দক্ষিণ, এবং দার্জিলিং-সহ সীমান্তবর্তী একাধিক লোকসভা কেন্দ্র অর্থনৈতিকভাবে অতি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এইসব কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় বিপুল টাকা উদ্ধারের রিপোর্ট তো রয়েছেই, আর্থিক লেনদেনের পরিমাণও নজর করার মতো বেশি। আর তাই আসানসোল, কলকাতা উত্তর, মালদা উত্তর, মুর্শিদাবাদের একাংশ এবং দার্জিলিং কেন্দ্রকে নজরদারির আওতায় বেঁধে ফেলতে চাইছে কমিশন। দার্জিলিংয়ের মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া, শিলিগুড়ির একটা অংশে আবার প্রচুর পরিমাণ মদ(Liquor) উদ্ধারের রেকর্ডও রয়েছে। এইসব এলাকায় সিকিম ও নেপাল থেকে ডিউটি ফ্রি মদ ঢোকে। ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য প্রচুর টাকা এই অঞ্চলে খরচ হয় বলেও অভিযোগ। একইসঙ্গে নজরে রয়েছে বনগাঁ। কারণ, বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগাভাগি করার জেরে এই এলাকায় সোনা ও মাদক পাচারের ঘটনা অহরহ ঘটে। সঙ্গে রয়েছে আমদানি-রফতানি ব্যবসা এবং কাঁচা টাকার বিপুল লেনদেন। তাই এইসব এলাকায় নজরদারি কয়েকগুণ বাড়ানো হবে। অর্থনৈতিকভাবে অতি স্পর্শকাতর হলে ফ্লাইং স্কোয়াড টিমও(Flying Squad Team) থাকবে।  

Advertisement

একই সঙ্গে কমিশনের তরফ থেকে রাজ্যের প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, উপযুক্ত নথি ছাড়া নগদ ৫০হাজার টাকা কিংবা তার বেশি টাকা নিয়ে কেউ বা কারা যাতায়াত করতে গিয়ে ধরা পড়লে তাঁদের সঙ্গে থাকা সেই টাকা যেন বাজেয়াপ্ত করে নজরদারি কমিটি। শুধু তাই নয়, ১০ হাজার টাকার বেশি মূল্যের উপহার নিয়ে যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় নথি না থাকলেও তাও বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে দুটি ক্ষেত্রেই বলে দেওয়া হয়েছে যে, উপযুক্ত নথি দেখালে যেন ছাড় দেওয়া হয় বা বাজেয়াপ্তের পরেও যদি কেউই যথাযথ নথি দেখাতে পারে তাহলে তা যেন বাজেয়াপ্ত হয়। তা না হলে হাতে সিজার লিস্ট ধরাতে হবে। সেই লিস্ট নিয়ে ৪৮ঘণ্টার মধ্যে জেলার ক্যাশ রিলিজ কমিটির কাছে আবেদন জানাতে হবে। ওই কমিটি ৭ দিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি করে দেবে। 

Advertisement
Tags :
Advertisement