For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

দেশের কৃষকরাই কাঁদানে গ্যাসের মুখে, দেশ এগোবে কী করে, প্রশ্ন মমতার

প্রতিবাদী কৃষকদের রুখতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ব্যবহার করতেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন সিঙ্গুর জমি আন্দোলনের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
02:23 PM Feb 13, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
দেশের কৃষকরাই কাঁদানে গ্যাসের মুখে  দেশ এগোবে কী করে  প্রশ্ন মমতার
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: মধ্যরাতের বৈঠক নিষ্ফলা। পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক শেষেও মেলেনি রফাসূত্র। বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর কৃষকনেতা তথা ‘পঞ্জাব কিসান মজদুর সংঘর্ষ কমিটি’র(Punjab Kisan Mazdoor Sangarsh Committee) সাধারণ সম্পাদক সারওয়ান সিংহ পান্ধের জানান, তাঁর সংগঠন ‘দিল্লি চলো’ অভিযানে শামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রাখছে। তার পরই কেন্দ্রকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি সরকার পূরণ করবে, এমনটা আমরা ভাবিনি। যদি সরকার আমাদের কিছু দিত, তা হলে আমরাও আমাদের আন্দোলনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতাম।’ সেই মতন এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় প্রতিবাদী কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’(Delhi Chalo) অভিযান। মিছিলে বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকেরা থাকলেও নেতৃত্বে রয়েছেন পঞ্জাবের সাঙরুর কৃষকেরা। মিছিলে সামিল আড়াই হাজার ট্রাক্টরও। পঞ্জাব এবং হরিয়ানার মধ্যবর্তী শম্ভু সীমানায় প্রতিবাদী কৃষকদের(Protesting Farmers) রুখতে পুলিশ(Police) কাঁদানে গ্যাসের সেল(Tear Gas Cells) ব্যবহার করতেই বাংলায় বসে ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের নেত্রী তথা বাংলার অগ্নিকন্যা ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। ট্যুইট করে প্রশ্ন তুললেন, ‘দেশের কৃষকদেরই যদি কাঁদানে গ্যাস দিয়ে আক্রমণ করা হয়, তবে দেশ এগোবে কী করে!’

Advertisement

ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্য, কৃষিঋণ মকুব এবং স্বামীনাথন কমিশনের প্রস্তাবের রূপায়ণ – এই ৩ দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলন শুরু করেছেন কৃষকেরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, দু’বছর আগে কৃষকদের অর্ধেক দাবি মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কেন্দ্র কিছুই করেনি। কৃষকেরা শান্তিপূর্ণ ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও সরকার সময় নষ্ট করেছে। ২০২০ সালে তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে অবস্থানে বসেছিলেন কৃষকেরা। পরে তিন আইনই বাতিল করা হয়। আর এই আন্দোলনে নামা কৃষকদের দাবি ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তা দিতে হবে সরকারকে। একই সঙ্গে সমস্ত কৃষিঋণ মকুব করতে হবে। স্বামীনাথন কমিশনের প্রস্তাব মেনে ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্য দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। ২০২০-২১ সালের প্রতিবাদে কৃষকদের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলা খারিজের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। কৃষকদের দু’টি বড় সংগঠন সংযুক্ত কিসান মোর্চা এবং কিসান মজদুর মোর্চা ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে। দু’টি সংগঠনের আওতায় মূলত পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের ৩৫০টি ছোট-বড় কৃষক সংগঠন রয়েছে। তবে ২০২০ সালের আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা দুই কৃষকনেতা রাকেশ টিকায়েত এবং গুরনাম সিংহ চারুনি এদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেই। পরিবর্তে নেতৃত্বে দিচ্ছেন দুই কৃষক নেতা সারওয়ান সিংহ পান্ধের এবং জগজিৎ সিংহ দাল্লেওয়াল।

Advertisement

এদিন সেই অভিযানেই কৃষকদের ওপরে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। হরিয়ানার সীমান্তে কৃষকদের আটকাতে হয়েছে ধস্তাধস্তিও। সেই ঘটনারই এবার ‘তীব্র নিন্দা’ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি দীর্ঘ টুইট করে তিনি লিখেছেন, ‘দেশের কৃষকদেরই যদি কাঁদানে গ্যাস দিয়ে আক্রমণ করা হয়, তবে দেশ এগোবে কী করে! আমি কৃষকদের উপর এই আক্রমণের ঘটনার ‘তীব্র নিন্দা’ করছি। কেন্দ্রীয় সরকার যে কৃষক এবং শ্রমিকদের যথাযথ সাহায্য করতে পারেনি তার প্রমাণ এই ঘটনা। কৃষকদের তাঁদের মৌলিক অধিকারের কথা বলতে চাওয়ার জন্য আক্রান্ত হতে হচ্ছে। এই কি তবে বিকশিত ভারতের নমুনা? কৃষকদের আন্দোলন দমন করার পরিবর্তে বিজেপি নিজেদের অহংকার, উচ্চাকাঙ্ক্ষা বিসর্জন দিক। দেশের ক্ষতি করেছে এমন শাসনের অবসান ঘটাক। মনে রাখবেন, এই কৃষকরাই উচ্চ এবং পরাক্রমশালী সহ আমাদের সকলকে টিকিয়ে রাখে। আসুন সরকারের বর্বরতার বিরুদ্ধে কৃষকদের সাথে একাত্ম হয়ে দাঁড়াই।’

Advertisement
Tags :
Advertisement