গার্ডেনরিচে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬, তবুও মমতাতেই আস্থা এলাকাবাসীর
নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকায় নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় উদ্ধারকাজ যতই এগোচ্ছে ততই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ২জন মহিলা সহ মোট ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতরা হলেন, আকবর আলি(৩৪), রিজওয়ান আলম(২২), মহম্মদ ওয়াসিক, মহম্মদ ইমরান, হাসিনা খাতুন(৫৫) ও সামা বেগম(৪৪)। ধ্বংসস্তূপ থেকে ২০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও এক জন আটকে আছেন বলে খবর। মোট আহতের সংখ্যা ১৬ জন। এছাড়াও ৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনা নিয়ে গার্ডেনরিচ থানায় বিশেষ বৈঠকে বসেছেন কলকাতা পুলিশের একঝাঁক আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন Additional CP ও DC র্যাঙ্কয়ের ৩ আধিকারিক। তবে এই দুর্ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা সরব হলেও এলাকাবাসীর আস্থা জিতে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজে অসুস্থ ও আহত হয়েও যেভাবে তিনি এদিন সকালে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েছেন, এলাকাবাসীর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন, তাতেই কার্যত বিরোধীদের মাঠ গরমের যাবতীয় সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। বরঞ্চ বিজেপির সজল ঘোষ ঘটনাস্থলে গিয়ে কদর্য রাজনীতি করতে গিয়ে চড় থাপ্পড় খেয়েছেন।
গতকাল রাতে কলকাতার গার্ডেনরিচের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে নির্মীয়মাণ বহুতলটি ভেঙে পড়ে পাশের ঝুপড়ির ওপর। আর তাতেই চাপা পড়ে যান ওই সব ঝুপড়র বাসিন্দারা। যদিও ঠিক কী কারণে সেই বহুতলটি ভেঙে পড়ল তা এখনও জানা যায়নি। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরে পরেই দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়ার পরে পরেই গ্রেফতার হয়েছেন বহুতলের প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিম। মুখ্যমন্ত্রী এলাকা পরিদর্শনের পরে পরে হাসপাতালেও যান আহতদের দেখতে। দমকল বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধারের কাজ এখনও চলছে। উদ্ধারকাজ শেষ হতে দুপুর গড়িয়ে যেতে পারে। আহতদের মধ্যে যে ৪জনকে চিকিৎসার পর SSKM Hospital থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন, জাহারা বেগম, মহম্মদ আসলাম, শাহিনা খাতুন এবং নুর সালিম ইসলাম। এ ছাড়া, স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৩ শিশু সহ মোট ১২ জন চিকিৎসাধীন ছিলেন। দুপুরে সেখান থেকে মইনুল হক, মুসরত জাহান এবং মহম্মদ সাইলুদ্দিন গাজীকে SSKM Hospital’র ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে আসা হয়েছে। উল্লেখ্য এই দুর্ঘটনার জেরে রাজ্য সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারকে এককালীন ৫ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।