নন্দীগ্রামে আইনশৃঙ্খলা কঠোর করতে বাড়ানো হচ্ছে থানার সংখ্যা
নিজস্ব প্রতিনিধি: নন্দীগ্রাম(Nandigram)। জমি আন্দোলনের(Anti Land Acquisition Movement) অন্যতম পীঠস্থান। এবার সেই নন্দীগ্রামের বুকেই আইনশৃঙ্খলার(Law and Order) বাঁধন আরও সুদৃঢ় ভাবে বাঁধতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন(West Bengal State Government)। আর সেই লক্ষ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার হলদিয়া মহকুমার মধ্যে থাকা নন্দীগ্রাম থানাকে ভেঙে নতুন আরও দুটি থানা করতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন। খুব শীঘ্রই নন্দীগ্রাম থানাকে ভেঙে আরও নতুন দুটি থানা তৈরি করতে চলেছে রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসন। নবান্ন সূত্রের খবর, নন্দীগ্রাম থানা ভেঙে রেয়াপাড়া ও তেখালি এই দুটি নতুন থানা করার ভাবনা রয়েছে নবান্নের। ইতিমধ্যেই তার জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে নবান্নে এই মর্মে প্রস্তাব জমা পড়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা পাশ হলেই নতুন দুই থানা গঠনের পথে এগোবে রাজ্য সরকার।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সার্বিকভাবে নন্দীগ্রামের আইনশৃঙ্খলার ওপর আরও নজরদারি বাড়াতে চাইছে রাজ্য সরকার। বাম জমানার শেষ দিকে ২০০৭ সালে জমি আন্দোলনের হাত ধরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম। প্রাণ হারান অনেকেই। এরপর থেকে গত দেড় দশক ধরে রাজ্য রাজনীতির ভরকেন্দ্র না হয়ে উঠলেও বার বার নিজের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রেখেছে নন্দীগ্রাম। পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা, যে কোনও নির্বাচনে শিরোনামে উঠে আসে নন্দীগ্রামের নাম। এহেন নন্দীগ্রামে বাড়তি নজর দিতে চাইছে প্রশাসন। আর তাই আগামী দিনে নন্দীগ্রামের আইনশৃঙ্খলার জন্য থাকবে ৩টি থানা ও ২টি আউটপোস্ট। কোন থানার অধীনে কোন এলাকা থাকবে তাও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। আপাতত নবান্ন অনুমোদন দিলেই নন্দীগ্রাম থানা ভেঙে আরও ২টি থানা তৈরি হবে।
তবে শুধু থানা করলেই তো হল না, সেখানে কতজন পুলিশ কর্মী মোতায়েন হবে, পরিকাঠামোতে কী কী থাকবে, তার জন্য কত খরচ হবে, সেই সবও ভাবতে হবে। একইসঙ্গে নতুন দুই থানা আর দুই আউটপোস্টের জন্য জমি কোথায় পাওয়া যাবে সেটাও ভাবতে হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনকে। সূত্রের খবর, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম থানা ভেঙে নতুন দুটি থানা গড়ার বিষয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন নিজ ঘণিষ্ঠ মহলে। হয়তো তিনি সেই সূত্রে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও দায়ের করতে পারেন। সেক্ষেত্রে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া অবধি চট করে রাজ্য সরকারও দ্রুত এগোতে পারবে না।