সুপ্রিম রায়ে চাকরি বহাল বাংলার ৮ হাজার B.ED প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের
নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনের মুখে বাংলার(Bengal) প্রায় ৮ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকদের(Primary School Teachers) জন্য বড় বার্তা দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)। দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বিশেষ বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, যে সব B.ED প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা ২০১৮ সালের National Council for Teacher Education বা NCTE’র বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন এবং ২০২৩ সালের ১১ আগস্ট শীর্ষ আদালতের দেওয়া রায়ের এক্তিয়ারে পড়েন না তাঁদের চাকরি বহাল থাকবে। DL.ED না থাকলেও শুধুমাত্র B.ED পাশ হলেও তাঁদের চাকরি বহাল থাকবে। এই রায়ের ফলে বাংলার সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশি প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা উপকৃত হতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিয়েছে।
প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি পেতে হলে উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ এবং DL.ED প্রশিক্ষণ থাকা আবশ্যিক। তবেই তাঁরা TET বা Teacher Eligibility Test-এ বসতে পারেন। আর TET পাশ করলে তবেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ মেলে। কিন্তু NCTE ২০১৮ সালের ২৮ জুন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেয়, NCTE অনুমোদিত কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে B.ED বা Bachelor of Education কোর্স পাশ করলে তাঁরাও প্রাথমিকে শিক্ষকতার চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যের DL.ED কোর্স করা এবং TET পাশ চাকরি প্রার্থীরা মামলা করেন। নানা রাজ্যের হাইকোর্ট হয়ে সেই মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সেইসব মামলায় ২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট NCTE’র বিজ্ঞপ্তিটিই বাতিল করে দেয়।
সেই সঙ্গে জানিয়ে দেয়, শুধুমাত্র DL.ED প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাই প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা পদে চাকরির জন্য যোগ্য বলে চিহ্নিত হবে। সেই রায়ের পরে পরেই প্রশ্ন উঠেছিল, যারা NCTE বিজ্ঞপ্তি দেখে শুধুমাত্র B.ED’র ভিত্তিতে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি করছেন, তাঁদের চাকরি থাকবে না যাবে? কেননা, ওই সব মামলা চলাকালীন সময়ে এবং নির্দেশের মাঝের সময়ে বাংলা সহ গোটা দেশে কয়েক লক্ষ B.ED প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। এ নিয়েই সওয়াল জবাবের শেষে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট শর্তসাপেক্ষে তাঁদের সিংহভাগের চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে।