OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

রাজ্যে বাতিলের পথে Urban Land Ceiling Act

নজরে Urban Land Ceiling Act। কেন্দ্রের মূল আইনটি ১৯৯৯ সালেই বাতিল হয়েছে। এবার রাজ্য সরকারও এই আইনটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে।
10:42 AM Feb 09, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: সময়ের সঙ্গে বদলাচ্ছে নগরজীবন। বদলাচ্ছে মানুষের মানসিকতা। সেই বদলের সঙ্গে বদলে যাচ্ছে নগরায়ণের চরিত্রও। এবার সেটাই ছাপ ফেলছে রাজ্যের আইনেও। কেন্দ্র সরকারের যে মূল আইনটি মেনে রাজ্যের আইন তৈরি হয়েছিল সেটি ২৫ বছর আগেই বাতিল করে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। তাই রাজ্যের আইনের আর সংশোধনী আনা সম্ভব নয়। সেই কারণেই এবার রাজ্যেরও একটি আইন বাতিল করে দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হল ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেটে(State Budget)। নজরে Urban Land Ceiling Act। কেন্দ্রের মূল আইনটি ১৯৯৯ সালেই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এবার রাজ্য সরকারও এই আইনটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে। আর এই আইন বাতিলের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়তে চলেছে রাজ্যের আবাসন শিল্পে(Housing Industry)।

কী আছে এই Urban Land Ceiling Act-এ? এই আইন অনুযায়ী পুরসভা বা পুরনিগম এলাকায় ১জনের মালিকানায় ৭ কাঠার বেশি জমি রাখা বেআইনি। কিন্তু দেশে যে হারে দ্রুত নগরায়ণ হ্যে চলেছে বা তার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে তা দেখে ১৯৯৯ সালেই কেন্দ্র সরকার এই আইনটি বাতিল করে দেয়। কিন্তু কেন্দ্রের আইন মেনে তৈরি হওয়া রাজ্যের আইনটি এতদিন ধরে বহাল আছে। কিন্তু এখন রাজ্য সরকারও দেখছে বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে এই আইনকে টিকিয়ে রাখার কোনও অর্থ হয় না। কেননা এখন শহর এলাকায় একক বাড়ি তৈরির তুলনায় ফ্ল্যাট বাড়ি বেশি তৈরি হচ্ছে। এরজন্য প্রয়োজন পড়ে ৭ কাঠার বেশি জমি। এক্ষেত্রে একাধিক ব্যাক্তি বা কোম্পানির নামে জমি কিনে, তবে ৭ কাঠার বেশি জমিতে ফ্ল্যাট বানাতে হচ্ছে যা রাজ্যের আবাসন শিল্পের ক্ষেত্রে একটা বড় কাঁটা হয়ে রয়েছে। আর সেই কাঁটা দূর করার লক্ষ্য নিয়েই এবার Urban Land Ceiling Act বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। গতকালের পেশ হওয়া বাজেটে সেই রকমই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে আবাসন শিল্প সংস্থাগুলি। বিগত কয়েক দশকে, সারা দেশে এবং বিশেষত বাংলার সামাজিক, আর্থিক এবং শিল্পের ক্ষেত্রে, আমূল পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু শিল্প এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন জমির উর্দ্ধসীমা একটি অন্যতম সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। তাই সেই সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার Urban Land Ceiling Act বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে গ্রাম বাংলার জন্য প্রযোজ্য West Bengal Land Reforms Act’র ঊর্ধ্বসীমা সংক্রান্ত ধারাগুলির বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী পুনর্বিবেচনা করা হবে বলেও গতকালের বাজেটের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

গ্রাম বাংলায় এখন ভূমিসংস্কার আইন অনুযায়ী, একক মালিকানায় ২৪.২২ একর জমি রাখা যায়। সেটিওর ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কী পরিবর্তন আনে সেদিকেও সকলে তাকিয়ে থাকবেন। কেননা বৃহত্তর কলকাতায় দেখা যাচ্ছে শহর ঘেঁষা পঞ্চায়েত এলাকায় বড় বাড় আবাসন মাথা তুলছে। কিন্তু সেই সেক্ষেত্রে সমস্যা হিসাবে দেখা দিচ্ছে একক মালিকানায় ২৪.২২ একর জমি রাখার বিষয়টি। তাই সেখানেও ধাক্কা খাচ্ছে য়াবাসন শিল্প। সেই ছবিও বদলাতে চাইছে রাজ্য সরকার।

Tags :
Housing IndustryMamata BanerjeeState BudgetUrban Land Ceiling ActWest Bengal Land Reforms Act
Next Article