OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

সেবদুল্লা গ্রামের জলকষ্ট নিয়ে এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

সেবদুল্লা গ্রামের জলকষ্ট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই। বাগডোগরায় দাঁড়িয়েই এই বার্তা দেন তিনি।
05:04 PM Dec 06, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google and Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের(Silliguri Mahakuma Parishad) নকশালবাড়ি ব্লকের(Nakshalbari Block) হাতিঘিষা গ্রাম পঞ্চায়েতের(Hatighisha GP) সেবদুল্লা গ্রামে(Sebdulla Village) গত ৪ বছর ধরে তীব্র জলকষ্ট(Water Crisis) চলছে। অভিযোগ, বহু আবেদন এবং নিবেদনের পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় কিছু পরিবার। মামলাকরীদের অধিকাংশই আদিবাসী চা-শ্রমিক পরিবারের। হাইকোর্টে চলতি সপ্তাহের সোমবার ওই মামলার শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী দাবি করেন, শুনানির দিন এলেই কলে জল চলে আসে। তার পর কোনও অজানা কারণে আর জল পাওয়া যায় না। সমস্যা বুঝতে অভিযোগকারীদের এজলাসে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Justice Abhijit Gangopadhay)। সেই ঘটনার জেরেই এদিন শিলিগুড়িতে পা রেখেই বড় বার্তা দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সাফ জানিয়ে দিলেন, সেবদুল্লা গ্রামের জলকষ্ট নিয়ে এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই। বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েই এই বার্তা দেন তিনি।

বস্তুত, ২০১৯ সাল থেকে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নকশালবাড়ি ব্লকের হাতিঘিষা গ্রাম পঞ্চায়েতের সেবদুল্লা গ্রামে পানীয় জলের অভাবের অভিযোগ ওঠে। গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এ নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন। সেই সঙ্গে সেদিন তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, এদিন অর্থাৎ বুধবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দফতর, প্রকল্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার-সহ আরও কয়েক জনকে দুপুর ২টোর মধ্যে তাঁর এজলাসে হাজির হতে হবে। কিন্তু এদিন মুখ্যমন্ত্রী বাগডোগরা থেকেই জানিয়ে দেন, সরকার এবং প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যে এই জলকষ্ট নিবারণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন আর আদালতকে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে হবে না।

এদিন এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘সমস্যা সমাধানে কিছু সময় লাগবে। এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন নেই। আমি ক্রসচেক করেছি। ওঁরা ঠিকঠাক ভাবেই পানীয় জল পাবেন। পিএইচই কাজ করছে। যত দিন না কাজ শেষ হচ্ছে, তত দিনের জন্য ওই গ্রামবাসীদের পুরনিগম থেকে পানীয় জলের বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’ এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পাশে দাঁড়ানো শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে দেখিয়ে বলেন, ‘আমি শিলিগুড়ির মেয়রকে বলেছি, যত দিন না সমস্যা না, তত দিন পানীয় জলের ট্যাঙ্ক পাঠান ওই গ্রামে। যাতে স্থানীয়রা অসুবিধায় না ভোগেন দেখতে হবে। এই ঘটনায় আমি মেয়র গৌতম দেব এবং জেলাশাসকের কাছে বিষয়টি নিয়ে খবর নিয়েছি। আহলুওয়ালিয়া ওই গ্রাম ‘অ্যাডপ্ট’ করেছিলেন। কাউকে ঢুকতে দিচ্ছিল না। কিন্তু তার পর তার দায়িত্ব পালন করেননি। ফলে ওখানে একটা ক্রাইসিস চলছিল। পিএইচই এখন ব্যাপারটা দেখছে। যত দিন না সেই কাজ শেষ হবে, তত দিন পুরসভাকে বলেছি, ট্যাঙ্কে করে ওঁদের জল পাঠাতে।’

Tags :
Hatighisha GPJustice Abhijit GangopadhayMamata BanerjeeNakshalbari BlockSebdulla VillageSilliguri Mahakuma ParishadWater Crisis.
Next Article