For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

‘বিচারব্যবস্থায় কোনও রকম রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব থাকা উচিত নয়’, অভিমত মমতার

দুই আদালতের সেই দুই শীর্ষ বিচারপতির উপস্থিতিতেই মমতা আদালত ও রাজনীতির মধ্যে যে একটা সীমারেখা থাকা দরকার সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন।
11:27 AM Jun 29, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
‘বিচারব্যবস্থায় কোনও রকম রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব থাকা উচিত নয়’  অভিমত মমতার
Courtesy - Facebook and Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘বিচারব্যবস্থায় কোনও রকম রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব থাকা উচিত নয়। বিচারব্যবস্থার এক দম বিশুদ্ধ এবং সৎ থাকা উচিত। গোপনীয়তা বজায় থাকা উচিত।’ শনি সকালে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) যিনি নিজেও একজন আইনজীবী। কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) বার লাইব্রেরির দ্বিশতবর্ষ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছেন সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়(Chief Justice D Y Chandrachud)। শনিবার সেই উপলক্ষেই ন্যাশন্যাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির(National Judicial Academy) একটি আলোচনা সভায় যোগ দেন তিনি। সেই সভাতেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও। অনুষ্ঠানে ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমও(Justice T S Shivangam)। দুই আদালতের সেই দুই শীর্ষ বিচারপতির উপস্থিতিতেই মমতা আদালত ও রাজনীতির মধ্যে যে একটা সীমারেখা থাকা দরকার সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন। আর সেই সূত্রেই তাঁর দাবি, বিচারব্যবস্থায় কোনও রকম রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব থাকা উচিত নয়। বিচারব্যবস্থার এক দম বিশুদ্ধ এবং সৎ থাকা উচিত। গোপনীয়তা বজায় থাকা উচিত।

Advertisement

কলকাতা হাইকোর্টের কিছু বিচারপতির ভূমিকা ও প্রদেয় রায় নিয়ে রাজ্য সরকারের যেমন বেশ আপত্তি আছে, তেমনি আপত্তি আছে খোদ মমতারও। এমনকি কলকাতা হাইকোর্টের কিছু ঘটনা ও বিচারপতিদের কিছু রায় নিয়ে যে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিও বেশ অসন্তুষ্ট তা এর আগে একাধিকবার তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে সামনে এসেছে। সেই আবহেই এদিন মমতা কার্যত রাজনীতি আর আদালতের মধ্যে একটা লক্ষ্মণরেখা টেনে দিলেন। সেটাও কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির উপস্থিতিতেই। এদিন কলকাতায় বাইপাসের ধারে একটি হোটেলের বলরুমে আয়োজন করা হয়েছিল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির আলোচনা চক্র। সেখানেই প্রথমে বক্তব্য রাখেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। তিনি বলেন, ‘কলকাতা হাইকোর্ট ঐতিহ্য ধরে রেখে নিজেকে পরিবর্তন করেছে। বিচারব্যবস্থা ঠিক রাখতে কলকাতা হাই কোর্ট কাজ করে চলেছে অবিরত। কোভিডের সময় লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমেও বিভিন্ন মামলার শুনানি চলেছে দেশের বিভিন্ন আদালতে। কলকাতা আদালতেও চলেছে।’ তাঁর বক্তব্যের পরেই বক্তব্য রাখতে যান মমতা।

Advertisement

সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ধন্যবাদ আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য। দেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে একই মঞ্চে থাকতে পেরে আমি গর্বিত। বিচারপতি চন্দ্রচূড় খুবই জনপ্রিয়। তাঁর বাবাও দেশের বিচারব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতিদেরও ধন্যবাদ। আমাকেও নিজেদের পরিবারের সদস্য বলে মনে করুন। আমিও আইনের লোক। আমি তিন-চারটি কেস লড়েছি। আমি এখনও বার অ্যাসোশিয়নের সদস্য। বিচারব্যবস্থা আমাদের কাছে পবিত্র, মন্দির-মসজিদ-গির্জা-গুরুদ্বারের মতো। সরকার বিচারব্যবস্থার সঙ্গে আছে। যদি বিচারব্যবস্থা আমাদের সাহায্য না করে, তা হলে মানুষ কোথায় যাবে। যখন মানুষের জীবনে সমস্যা আসে, তখন মানুষের বিশ্বাস থাকে যে, দেশের বিচারব্যবস্থায় আমাদের রক্ষা করবে। বিচারপতি চন্দ্রচূড় দেশের বিচারব্যবস্থাকে উন্নত করতে সাহায্য করছেন। আমরা বিচারব্যবস্থাকে উন্নত করতে হাজার কোটি খরচ করেছি। ৭০ একর জমি দিয়েছি। রাজারহাটে নতুন হাই কোর্টের জায়গা দিয়েছি। আমদের ৮৮টি ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্ট রয়েছে, যার মধ্যে ৫৫টি মহিলাদের জন্য। ৯৯টি মানবাধিকার কোর্ট রয়েছে। আমি কাউকে আঘাত করতে চাই না। কিন্তু আমার অনুরোধ, বিচারব্যবস্থায় কোনও রকম রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব থাকা উচিত নয়। বিচারব্যবস্থার এক দম বিশুদ্ধ এবং সৎ থাকা উচিত। গোপনীয়তা বজায় থাকা উচিত।’

Advertisement
Tags :
Advertisement