এবার রাজ্যের ফুলচাষীদের জন্যও প্রকল্প থাকছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচীতে
নিজস্ব প্রতিনিধি: দক্ষিণবঙ্গের(South Bengal) একাধিক জেলায় ক্রমশই বেড়ে চলেছে ফুল চাষের(Cultivation of Flowers) রমরমা। দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, দুই বর্ধমান, নদিয়া জেলায় ফুলচাষীদের(Flower Farmers) সংখ্যা এখন ক্রমশই বেড়ে চলেছে। কেননা ফুলচাষ করে অর্থনৈতিক ভাবেও লাভবান(Economically Profitable) হচ্ছেন তাঁরা। বাংলার ফুল(Flowers of Bengal) এ রাজ্যের পাশাপাশি পাড়ি জমাচ্ছে দেশের অনান্য রাজ্য মায় বিদেশেও। তাই রাজ্যে ফুলচাষে উৎসাহ দিতে এবং ফুলচাষীদের পাশে দাঁড়াতে এবার রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারও বাড়তি উদ্যোগ নিচ্ছে। এদিন থেকেই রাজ্যে শুরু হচ্ছে অষ্টম দুয়ারে সরকার(Duare Sarkar) কর্মসূচী। সেই কর্মসূচীতে ৩৬টি পরিষেবার সুবিধা মিলবে। তার মধ্যে ফুলচাষীদের জন্য থাকছে ‘উদ্যানজাত ফসলের সুরক্ষিত চাষের আবেদন-প্রাপ্তি এবং প্রক্রিয়াকরণ’ প্রকল্পের জন্য আবেদন করার ব্যবস্থাও। এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্যই হল রাজ্যের ফুলচাষীদের আয় বৃদ্ধি করা।
এদিন থেকে যে দুয়ারে সরকার কর্মসূচী শুরু হচ্ছে তা চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এর মধ্যে আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর অবধি পরিষেবা প্রদান করা হবে ৩১ জানুয়ারি অবধি। এই অষ্টম পর্যায়ের দুয়ারে সরকার শিবিরে প্রথমবারের জন্য সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন ফুলচাষিরাও। কারণ এবারই প্রথমবারের জন্য উদ্যানজাত ফসলের সুরক্ষিত চাষের জন্য আবেদনপত্র গ্রহণ করার কাজ করা হবে। ‘উদ্যানজাত ফসলের সুরক্ষিত চাষের আবেদন-প্রাপ্তি এবং প্রক্রিয়াকরণ’ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হল ফুলচাষীদের আয় বৃদ্ধি করা। আরও বেশি এলাকাকে সুরক্ষিত চাষের আওতায় আনার জন্য, বিদেশি এবং অসময়ে সব্জি উৎপাদন, রফতানি মানের কাটা ফুল এবং মানসম্পন্ন চারা উৎপাদনের জন্য এবং উদ্যানপালনে বিভিন্ন প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে।
আগ্রহী কৃষক, কৃষি উদ্যোক্তা, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, এফপিও এবং এফপিসি যাদের লিজ সর্বনিম্ন পাঁচ বছর বা মালিকানা জমি আছে তারা এই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যথাযথভাবে পূরণ করা আবেদনপত্রের সঙ্গে দিতে হবে জমির নথির স্বাক্ষরিত ফটোকপি, পাট্টা বা ইজারা চুক্তির কপি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ, ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ডের কপি, দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং মোবাইল নম্বর। রাজ্য সরকার এবং উদ্যানপালন দফতরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ফুল চাষিরা। সারা বাংলা ফুল চাষি এবং ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়ক এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘আমরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। কারণ এর মাধ্যমে অনেক সাধারণ এবং ক্ষুদ্র ফুল চাষি লাভবান হবেন। এতদিন এই সুবিধা পাওয়ার কথা জানতেন কেবল বড় চাষি এবং শাসকদলের ঘনিষ্টরাই। কিন্তু দুয়ারে সরকারের কারণে অনেক বেশি ফুলচাষি তা জেনে সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।’