For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

মমতাই ভরসা, মিলন সংঘে জনতার দরবারে হাজির শয়ে শয়ে জনতা

লোকসভা নির্বাচনের পরে জনতার দরবারের ভিড় বলে দিচ্ছে বাংলার প্রতিটি মানুষ জানেন মমতাই তাঁদের ভরসা। মমতার কোনও বিকল্প নেই।
03:03 PM Jul 01, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
মমতাই ভরসা  মিলন সংঘে জনতার দরবারে হাজির শয়ে শয়ে জনতা
Courtesy - Facebook and Twitter
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) রাজনীতির অনবদ্য বৈশিষ্ট্য। কলকাতা হোক বা জেলা, মমতা যেখানেই যান পথ চলতি সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি কথা বলেন, তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন। এই ছবি দেখা গিয়েছে বার বার, সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে মমতা তাঁদেরই ঘরের মেয়ে হয়ে গিয়েছেন। জেলা সফরে মমতাকে সবসময় দেখা যায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে। তাছাড়া রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তর নবান্নে যেমন অভিযোগ জানানোর জন্য একটি সেল রয়েছে, তেমনি ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’(Sarasari Mukhomantri) নামে হেল্পলাইনও চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বছরভর জনসংযোগ এবং মানুষের পাশে থাকার কথা জনপ্রতিনিধিদের বার বার মনে করিয়ে দেন মমতা। এমনকী, ভোট মেটার পর একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকেও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, সারাবছর মানুষের পাশে থাকলে ভোটের সময়ও মানুষ মনে রাখবেন। সেই সূত্রেই মমতারই নির্দেশে চালু হয় জনতার দরবার(Janatar Darbar)। লোকসভা নির্বাচন মেটার পরে দেখা গেল সেই দরবারেও ভিড় জমাচ্ছেন শয়ে শয়ে মানুষ, যা কার্যত বলে দিচ্ছে, বাংলার প্রতিটি মানুষ জানেন মমতাই তাঁদের ভরসা।

Advertisement

মমতার নির্দেশে প্রতি রবিবার তাঁর বাড়ির কাছে কালিঘাট মিলন সংঘে(Kalighat Milan Sangha) জনতার দরবার বসে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত চলে সেই দরবার। কোনও সরকারি প্রকল্পের ভাতা সংক্রান্ত বিষয় কিংবা জমি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে সেখানে আসেন আমজনতা। তাঁদের প্রয়োজনমতো সহযোগিতাও করা হয়। প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের কোনও বিষয় থাকলেও জমা নেওয়া হয় সেই সংক্রান্ত নথি। সমস্যা ও অভিযোগের কাগজপত্র খতিয়ে দেখে দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে জানানো দরবারে আসা মানুষদেরকে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রত বক্সি প্রতি রবিবার এই দরবারে হাজির থাকেন। সমস্যার দ্রুত সমাধানের উদ্দেশ্যে অভিযোগকারীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিধায়ক কিংবা পুর চেয়ারম্যানের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন থাকলে তা তিনি করে দেন। লোকসভা নির্বাচনের জন্য সেই দরবার বেশ কয়েক মাস বন্ধ ছিল। কিন্তু ভোট মিটতেই গতকালও বসেছিল সেই জনতার দরবার। আর সেখানেই দেখা গেল শয়ে শয়ে জনতার ভিড়।

Advertisement

সেই ঘটনা দেখে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, জনতার দরবারের ভিড় একথা বলে দেয় না যে তা তৃণমূলের প্রতি সমর্থন বা ভরসা। তবে অবশ্যই তা বলে দেয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আস্থা রেখে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আসছেন তাঁদের সমস্যা, অভাব, অভিযোগ নিয়ে। মমতা মানেই তৃণমূল(TMC), আর তৃণমূল মানেই মমতা। একথা গত কয়েক দশক ধরে ধ্রুব সত্য হয়ে রয়ে গিয়েছে বাংলার(Bengal) জনমানসে। কিন্তু জনতার দরবার বলে দিচ্ছে, বাংলার মানুষ মমতাকে নিছক তৃণমূল নেত্রী হিসাবে দেখেন না। দেখেন না শুধুমাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেও। তাঁদের কাছে মমতা আজও বাংলার অগ্নিকন্যা। মানুষ মনে করেন আজও মমতার কাছে সমস্যা তুলে ধরলে তার কিছু না কিছু সমাধান হবেই হবে। সম্ভবত বাংলার একশ্রেনীর মানুষের এই বিশ্বাস আর ভরসা আদালত বা বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এখানেই প্রমাণ হয়েছে মমতা অনন্যা। তিনি সত্যিই অন্যদের থেকে অনেক অনেক আলাদা। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, মমতার এই ইমেজ একদিনে তৈরি হয়নি। তা তৈরি হয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে। বাংলার আর কোনও নেতানেত্রী এই ইমেজ চট করে তৈরি করতে পারবেন না। আর এই কারণেই বিরোধীরাও বার বার চেষ্টা করেও কেউ মমতার বিকল্প হয়ে উঠতে পারেন না।

Advertisement
Tags :
Advertisement