For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

ভিক্টরকে আর কংগ্রেসকে বিঁধে হাতের ঘর ভাঙালেন মমতা

তৃণমূল এখনও অবধি রায়গঞ্জ লোকসভা আসনটি জয় করতে পারেনি। এবারে সেই খামতি আর রাখতে চাইছেন না মমতা। তাই কংগ্রেস ভাঙিয়েই ফসল তুলছেন দলের ঘরে।
04:00 PM Apr 22, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
ভিক্টরকে আর কংগ্রেসকে বিঁধে হাতের ঘর ভাঙালেন মমতা
Courtesy - Facebook
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের(North Bengal) উত্তর দিনাজপুর(Uttar Dinajpur) জেলায় বরাবরই বাম আর কংগ্রেসের(INC) প্রভাব রয়েছে। বাম জমানার আগে থেকেই ১৯৬২ থেকে বাম জমানার সময়ে ১৯৯১ পর্যন্ত, মাঝের ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮০, এই ৩ বছর বাদ দিয়ে বাকি পুরো সময়টা রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র(Raiganj Constituency) ছিল কংগ্রেসের দখলে। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্র চলে গিয়েছিল বামেদের দখলে। ১৯৯ সালে এই কেন্দ্র বামেদের হাত থেকে পুনঃরুদ্ধার করেছিলেন প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি। কার্যত সেই সময় থেকেই উত্তর দিনাজপুর জেলা জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে ‘প্রিয়রঞ্জনের জেলা’ হিসাবে চিহ্নিত হয়ে যায়। তবে উত্তর দিনাজপুর জেলায় এই কংগ্রেস আধিপত্যের মূলে ছিল রাজবংশী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের সমর্থন। প্রিয়রঞ্জনের অসুস্থতার জন্য তাঁর স্ত্রী দীপা দাসমুন্সি এই কেন্দ্র থেকেই জিতে সাংসদ হয়েছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে। সেই সুবাদে ১৯৯৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্র ছিল কংগ্রেসের দখলে। ২০১৪ সালে এখানে ফের জেতে বামেরা। ২০১৯ সালে কিন্তু এই কেন্দ্র চলে যায় বিজেপির দখলে। তৃণমূল(TMC) এখনও পর্যন্ত এই লোকসভা কেন্দ্র একবারের জন্যও দখল করতে পারেনি। সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে এবার কংগ্রেস ভাঙিয়েই রায়গঞ্জ দখলের পথে পা বাড়ালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।

Advertisement

বাম জমানার সময় থেকেই উত্তর দিনাজপুরের রাজনীতিতে ফরোয়ার্ড ব্লক নেতা আলি ইমরান রামজ ওরফে ভিক্টর বেশ সুনাম অর্জন করেছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি গোয়ালপোখর থেকে বিধায়ক হিসাবেও নির্বাচিত হন। সেই ভিক্টরই এবারে লোকসভা নির্বাচনের আগে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসকে। শুধু যোগ দেওয়াই নয়, কংগ্রেস ইতিমধ্যেই তাঁকে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থীও করেছে। সেই রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যানীর সমর্থনে প্রচারে নেমে মমতা ধারাবাহিক ভাবে নিশানা বানাচ্ছেন ভিক্টরকে। এর আগেও বানিয়েছেন, এদিনও বানিয়েছেন। কেন মমতার নিশানায় ভিক্টর? তৃণমূল সুপ্রিমো মনে করছেন, তৃণমূলের ভোট কেটে বিজেপিকে সাহায্য করতেই ভিক্টর ফরোয়ার্ড ব্লক ছেড়ে কংগ্রেসে গিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। সংখ্যালঘু ভোটের বিভাজন ঘটানোই তাঁর লক্ষ্য। ভিক্টরকে সামনে রেখে কংগ্রেস হারানো দুর্গ পুনরুদ্ধার করতে উদ্যোগী হওয়ায় মমতার আক্রমণের মুখে পড়েছে কংগ্রেসও। এদিনই চাকুলিয়ায় তাঁর সভায় তাঁর উপস্থিতিতে কংগ্রেসের ৩জন ব্লক সভাপতি যোগ দেন তৃণমূলে। সেই সঙ্গে মমতা নিশানা বানান ভিক্টর সহ বাম-কংগ্রেসকে।

Advertisement

এদিনের সভা থেকে মমতা ভিক্টরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আব্দুল করিম চৌধুরী, কানহাইয়ালাল আগরওয়াল, গোলাম রব্বানি যা বলেছেন তার সঙ্গে আমি একমত। যিনি কংগ্রেস থেকে এখানে দাঁড়িয়েছেন আগে ফরোয়ার্ড ব্লক করতেন। হেরে গিয়ে কংগ্রেসে গিয়ে নাম লিখিয়েছেন কেন? তার কারণ তৃণমূল যাতে না জিততে পারে। ভোট কাটলে বিজেপি তাঁকে অনেক কিছু দেবে। ভোট কাটার জন্য সে দাঁড়িয়েছে কেন জানেন? যদি কিছু মুসলিম ভোট কাটা যায় তৃণমূলকে যাতে হারানো যায়। আমার কানে এসেছে, উনি লোকের কাছে টাকা চেয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁর নাকি টাকা নেই। দেব একটা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। লোকের থেকে আঁচল পেতে টাকা নিচ্ছেন। সব নিজের কাছে রাখবেন। উত্তর দিনাজপুরে আপনার ফসল চলছে। কোথা থেকে আসছে টাকা? যারা টাকা দিয়েছেন, আর দেবেন না। ভোট দিন তৃণমূলকে।’

এরপর কংগ্রেসকে বিঁধে তিনি বলেন, ‘শুনুন, INDIA জোট কে করেছে? আমি করেছি। তৃণমূল অবশ্যই ভোটের পরে INDIA-কে সমর্থন করবে সরকার গড়তে। কিন্তু বাংলায় কোনও জোট নেই। এখানে আমরা একা লড়ছি বিজেপির বিরুদ্ধে। এখানে সিপিএম আর কংগ্রেস হচ্ছে বিজেপির দুটো পাখির দুটো চোখ। এখানে ওরা দুইজনই বিজেপির হয়ে খেলছে। ওদের ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া এটা মাথায় রাখবেন। হ্যাঁ কংগ্রেসের একটা অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। বলেছে টাকা নেই। যদিও সমর্থন করি না ফ্রিজ করা। কিন্তু তারপরও বলবো, তোমাদের টাকার অভাব? তেলঙ্গানায় সোনার খনি। কর্নাটকে তোমরা ক্ষমতায়। হিমাচলে কাদের সরকার? তামিলনাড়ুতে যৌথ ভাবে সরকারে। আমরা তো শুধু একটা রাজ্যে, এই বাংলায়। যেখানে আমরা নেই সেখানে তুমি লড়ো আমি সমর্থন দেব। কিন্তু এখানে ভোট কাটতে এসো না।’ এদিন চাকুলিয়ার সভার শেষে মমতার উপস্থিতিতে উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩জন ব্লক সভাপতি মহম্মদ মোস্তাফা, হামিদুল রহমান ও সাদিকুল ইসলাম যোগ দেন তৃণমূলে। দেখার বিষয়, রায়গঞ্জে এবার জোড়াফুল ফোটে কিনা।

Advertisement
Tags :
Advertisement