বাড়ছে তিস্তার জল, যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ সিকিম প্রশাসনের
নিজস্ব প্রতিনিধি,শিলিগুড়ি:পাহাড়বাসীর প্রিয় স্বপ্নের তিস্তা আজ যেন বিভীষিকা তাদের কাছে।২০২৩ সালের ৪ই অক্টোবর সেই তিস্তার তান্ডবের পর আজও পাহাড়ের মানুষের মনে আতংক সৃষ্টি করে চলেছে তিস্তা।সিকিম ও কালিম্পংকে ক্রমাগত নাস্তানাবুদ করে চলছে এই ভয়ংকরী তিস্তা।থেমে নেই এখনও।এবারও সিকিম ও কালিম্পং এ প্রবল বর্ষনে তিস্তার(Tista) রুপ ভয়ংকর।তিস্তার গ্রাসে সড়ক পথ থেকে বসবাসের বাড়ি সবটাই। তিস্তা গর্ভে বিলিন হচ্ছে।তিস্তার আতংকে বহু মানুষ ঘর ছাড়া।বন্ধ বহু সড়ক পথ।
তবে এই মুহুর্তে বেশ কিছু এলাকায় যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ এনেছে কালিম্পং প্রশাসন।বিপদ এড়াতে ছোট যানবাহন বাদ দিয়ে বড় গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তারা।তবে তা অল্প দিনের জন্য।এমনটাই জানিয়েছেন কালিম্পং ডি এম(DM) শ্রী বালাসুব্রমুনিয়া।তিনি জানান, বর্তমানে তিস্তা ভয়ংকর গতিতে প্লাবিত হচ্ছে।সিকিমে কোন বাধ না থাকায় বৃষ্টির জল সরাসরি তিস্তা হয়ে এরাজ্য প্রবেশ করছে । যার দরুন অল্প বৃষ্টিতে তিস্তার জল দ্রুত বেড়ে উঠছে।সেই কারনে যানবাহনের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে।কিছু যানবাহনকে ঘুর পথে লাভা,গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি(Siliguri) যাওয়া আসার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।উত্তরবঙ্গে(North Bengal) শনিবার অতিভারী বৃষ্টি হবে আলিপুরদুয়ার ,জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং জেলায়। এই তিন জেলার কয়েক জায়গায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা। দার্জিলিং, কোচবিহার জেলার কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া থাকবে।রবিবারেও আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলতে থাকবে।
দার্জিলিং ও কালিম্পং এর পার্বত্য এলাকাতে ভারী বৃষ্টি সঙ্গে দমকা ঝোড়ো বাতাসের সম্ভাবনা।বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝড়ো বাতাস বইবে মালদা ,উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে।সোমবার থেকে বুধবার দার্জিলিং ,কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ,কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলাতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। মালদা এবং দুই দিনাজপুরে ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে।