ক্যানিংয়ের জীবনতলায় পিটিয়ে খুন তৃণমূলকর্মীকে
নিজস্ব প্রতিনিধি: ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেও রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে জয়ের মুখ দেখতে পারেনি বাংলা, বাঙালি ও তৃণমূলের বিরোধীরা। আর তাই ভোট মিটতেই একের পর এক তৃণমূল কর্মীর ওপর ঘটে চলেছেন হামলা ও খুনের ঘটনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার ক্যানিং মহকুমার(Canning Sub Division) জীবনতলায়(Jibantala PS) এবার অভিযোগ উঠেছে ২১৮ নম্বর বুথের তৃণমূল সভাপতি(TMC Booth President) রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলকে পিটিয়ে মেরে ফেলার। মৃত ব্যক্তির বাড়ি জীবনতলা থানার ৭ নম্বর গ্রামে। সূত্রের দাবি, দেনাপাওনা নিয়ে গন্ডগোলের জেরেই খুন। যদিও মৃত ব্যক্তির পরিবারের দাবি, তৃণমূল করার অপরাধে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে পিটিয়ে খুন(Beaten to Death) করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেল এখনও এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। যদিও এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিবেশীর সঙ্গে টাকাপয়সা নিয়ে ঝামেলা চলছিল রবীন্দ্রনাথবাবুর। তার জেরেই এই কাণ্ড। এর পাশাপাশি নিয়মিত মদ্য়পান করতেন তিনি। যদিও বুধবার রাতে মদ্যপানের পর তৃণমূল বুথ সভাপতি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, বাঁশ নিয়ে এলাকায় কয়েকজন ঘোরাঘুরি করছিল। তারাই রবীন্দ্রবাবুকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। তারাই পিটিয়ে মেরেছেন।আবার রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলের মেয়ের দাবি, মদের সঙ্গে অন্য কিছু মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল তাঁকে। পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রবীন্দ্রনাথবাবুর দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
ঘটনার তদন্তে নামা জীবনতলা থানার পুলিশের দাবি, ঠিক কী কারণে রবীন্দ্রনাথবাবুর মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা অবধি বলা যাবে না। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি, মাদক খাইয়ে তারপর পিটিয়ে খুন করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথবাবুকে। বৃহস্পতিবার সকালে ক্যানিং পূর্বের বিধাক শওকত মোল্লা(Showkat Molla) ঘটনাস্থলে পৌঁছন। পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। শওকত মোল্লা জানান, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না এলে বলা যাবে না কীভাবে খুন হয়েছিল, কেন খুন হয়েছিল। কারণ ওর কোনও রাজনৈতিক শত্রু সেইভাবে ছিল না। খুবই ভাল ছেলে।’