অসমে ৪ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিল তৃণমূল, চাপে কংগ্রেস
নিজস্ব প্রতিনিধি: জোড়াফুলের পদক্ষেপে চাপে পড়ে গেল হাত। নজরে লোকসভা নির্বাচন(General Election 2024) এবং ১৪টি লোকসভা কেন্দ্রের রাজ্য অসম(Assam)। সেখানেই ৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। বিজেপি(BJP) শাসিত এই রাজ্যে এমনিতেই বেশ চাপে রয়েছে কংগ্রেস(INC)। তারওপর এখন তৃণমূল ৪টি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়ে দেওয়ায় সেখানে আরও কিছুটা কোনঠাসা হয়ে গেল রাহুল গান্ধি ও সোনিয়া গান্ধির দল। মজার কথা তৃণমূলের তরফে আগেই অসমে কংগ্রেসের কাছ থেকে ২টি আসন চাওয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাব নাকচ করে কংগ্রেস। এর পরে পরেই তৃণমূল সেখানকার ৪টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিল। জানা গিয়েছে, অসমের কোকড়াঝাড় আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন গৌরীশঙ্কর সারানিয়া। বরপেটা আসনে প্রার্থী হয়েছেন আবদুল কালাম আজাদ। লখিমপুর আসনের তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন ঘনকান্ত ছুটিয়া এবং তৃণমূলের টিকিটে শিলচর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন র্যাধেশ্যাম বিশ্বাস।
অসমে ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল অবধি টানা রাজত্ব করেছে কংগ্রেস। ৭৮ থেকে ৭৯, ১ বছর অসমে ছিল জনতা পার্টির সরকার। তারপর আবারও ফেরে কংগ্রেস। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এই ১০ বছর অসমের ক্ষমতায় ছিল আঞ্চলিক দল অসম গণ পরিষদ। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত অসমের ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। কিন্তু তারপরেই ছবি বদলে যায়। ২০১৬ থেকে একটানা সে রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। সে রাজ্যে কংগ্রেস এখন এতটাই কোনঠাসা যে ১২৬টি আসন বিশিষ্ট অসম বিধানসভায় কংগ্রেসের হাতে আছে মাত্র ২৩জন বিধায়ক। এই অবস্থায় কংগ্রেস যখন ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে তখন তাঁদের ধাক্কা দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এর আগেই মেঘালয়ে ১টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। তাতে কংগ্রেস তো চাপে ছিলই। এবারে অসমেও ৪ আসনে চাপে পড়ে গেল কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, অসম এবং মেঘালয়ের বাইরেও উত্তরপ্রদেশে একটি আসনে প্রার্থী দিচ্ছে তৃণমূল। সেই আসনে তৃণমূলকে সমর্থন দেবে সেখানকার প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি। অখিলেশ যাদবের দলের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হয়েছে। সেই সূত্রেই সপা নিজের ভাগ থেকে উত্তরপ্রদেশে তৃণমূলকে ১টি আসন ছেড়েছে। কিন্তু অসমের ঘটনার পর সেই আসনে কংগ্রেস কী করবে তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। ওই আসনে তৃণমূলকে সমর্থন করা হবে, নাকি কংগ্রেস সেখানে নিজেদের প্রার্থী দেবে সেটা নিয়েই এখন চলছে জল্পনা। মনে করা হচ্ছে, বাংলার বাইরে প্রার্থী দিয়ে তৃণমূল বিভিন্ন রাজ্যে যেমন নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে, তেমনই প্রাপ্য ভোটের নিরিখে সর্বভারতীয় তকমা ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে তাঁদের।