অনুষ্ঠানে ঢোকা বারণ গাড়িচালক, সিকিউরিটিদের! বিতর্ক উঠতেই সাফাই কাঞ্চনের
নিজস্ব প্রতিনিধি: ৩ মার্চ সামাজিকভাবে বিয়ে সেরেছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। এরপর গতকাল ৬ মার্চ শহরের একটি বিলাসবহুল ব্যাঙ্কোয়েটে বসেছিল কাঞ্চন-শ্রীময়ীর তারকা খচিত রিসেপশন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন টলিউডের একগুচ্ছ তারকা। ছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তী প্রমুখ। কিন্তু তাঁদের রিসেপশনের প্ল্যাকার্ড নিয়েই সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে ধুন্ধুমার। যেখানে লেখা ছিল, “Please! Press And Personal Securities And Drivers Are Not Allowed. Inconvenience Is Regretted”, অর্থাৎ “প্লিজ়! সংবাদমাধ্যম, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির চালকরা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না।" সংবাদমাধ্যমের প্রবেশের অনুমতি নেই এই কথাটি অনেক আগেই জানিয়েছিলেন শ্রীময়ী। বলেছিলেন কাঞ্চন বেশি লাইমলাইট পছন্দ করেন না। তাই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু তা বলে তাঁদের বাড়ির গাড়ির চালক, নিরাপত্তারক্ষীদেরও প্রবেশ নিষেধ, এই বিষয়টি কেউ মেনে নিতে পারছেনা। বিশেষ করে কাঞ্চনের এমন ব্রিটিশদের মতো রগচটা মনোভাব দেখে ক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের থেকে শুরু করে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া।
এমনকি এই ঘটনায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বডিগার্ড রাম সিংও চরম বিরোধিতা করেছেন। যতই হোক, সারাবছর যাঁরা তারকাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে, যারা সময়ে অসময়ে গাড়িতে করে গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছে। তাঁদেরকেই বিয়েতে ঢুকতে দিলেন কাঞ্চন। এদিন রিসেপশনের ভেন্যুর যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছিল এই লেখার প্ল্যাকার্ডটি। ইন্ডাস্ট্রিরও অনেকে এই বিষয়টি নিয়ে গর্জে উঠেছেন। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তারক্ষী রাম সিং ক্ষোভ উগড়ে একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “কুকুর-বিড়ালের পর্যায়ে আমাদের ফেলে দেওয়া হয়েছে। খুব খারাপ কাজ করেছেন এটা কাঞ্চনবাবু। আমার ব্যক্তিগতভাবে খারাপ লেগেছে। আমি অপমানিত হয়েছি খুবই। দাদার (প্রসেনজিৎ) কাছেও কাঞ্চনবাবুর রিসেপশনের আমন্ত্রণ ছিল। তিনি যেতে পারেননি অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন বলে। আমার বিশ্বাস, ওখানে গিয়ে তিনিও এমন দেখলে ঢুকতেন না পার্টিতে। গেট থেকেই ফিরে আসতেন।"
কিন্তু এই বিতর্কে অবাক কাঞ্চন নিজেই। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তাঁকে কেন টার্গেট করা হচ্ছে। সবাই তাঁর রিসেপশনের কার্ড দেখেছে। কিন্তু কোত্থাও, কোনও জায়গায়, লেখা নেই প্রেস, ড্রাইভার, কিংবা নিরাপত্তা রক্ষীরা আসতে পারবেন না। এমনটা তাঁর শিক্ষা নয়। তবে সবাই হয়তো জানে, সকল ভেন্যুর একটা ডেকোরাম আছে। ২০০ লোকের জায়গায় ৪০০ লোকের জায়গা দেওয়া যায়না। গতকাল তাঁর অনুষ্ঠানে সেলিব্রিটি এবং রাজনীতিকরা অনেকেই এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে বাউন্সারও এসেছিল। আসলে অনুষ্ঠানে তিনটে কথা বলে ঢোকা ভীষণ সহজ। ‘আমি প্রেস (অর্থাৎ সংবাদমাধ্যম)’, ‘আমি ড্রাইভার’, ‘আমি নিরাপত্তারক্ষী'। ভেন্যুতে বলার নমস্কার হয়েছিল, যাঁরা-যাঁরা আসছেন আমন্ত্রিতদের সঙ্গে, তাঁরা ফার্স্ট ফ্লোরে অপেক্ষা করবেন, বাকিরা উঠে আসবেন। গেস্ট লিস্টেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল ভেন্যুতে।ব্যক্তিগতভাবে কাউকে অপমান করতে চাননি। যদি এই কথাটিকে কেউ অন্য মানে করে তাহলে কিচ্ছু না বলার নেই।