‘হাস্যকর রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি’, রেখাকে নিশানা তৃণমূলের
নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের জাতীয় মহিলা কমিশনের(National Commission for Women) চেয়ারপার্সন(Chair Person) রেখা শর্মা(Rekha Sharma) গতকাল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালিতে(Sandeshkhali) পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বেছে বেছে বিজেপি সমর্থন বা কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বাংলার বুকে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানান। তাঁর মন্তব্য, ‘সন্দেশখালিতে দিনের পর দিন মহিলাদের ওপর নির্যাতন হয়েছে। মোট ১৭টি অভিযোগ পেয়েছি। এছাড়াও দুই মহিলার কাছ থেকে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েছি। রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া কোনও উপায় নেই।’ রেখার সেই মন্তব্যের জেরেই সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্য ও জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে জোর বিতর্ক বেঁধেছে। প্রশ্ন উঠেছে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বা কমিশনের কোনও সদস্য কী এভাবে কোনও রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি কী জানাতে পারেন? সেই প্রশ্নের মাঝেই এবার রাজ্যের শাসক দলের তরফেও রেখাকে পাল্টা আক্রমণ করা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, ‘হাস্যকর রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি’। কেন সেই দাবি হাস্যকর তার ব্যাখাও দিয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূলের দাবি, সন্দেশখালিতে এসে হাস্যকর রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়ে, বাংলাকে কার্যত অশান্ত করার চেষ্টায় ইন্ধন যোগাচ্ছেন রেখা শর্মা। এই নিয়ে তাঁরা ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছে, ‘অতীত ইতিহাস ঘাঁটলেই জানা যাবে, ২০১৫ সাল থেকে রেখা শর্মা @NCWIndia-র চেয়ারপার্সন পদে রয়েছেন। তার আগে তিনি @BJP4Haryana-র জেলা সম্পাদক এবং মিডিয়া ইনচার্জের দায়িত্বে ছিলেন। কাজেই, মণিপুর বা চোপড়ার ঘটনায় নারী সুরক্ষা নিয়ে বিচলিত না হয়ে, তিনি যে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সরব হবেন, তাতে আর সন্দেহ কীসের?’ পাশাপাশি রেখা শর্মার পুরনো একটি ট্যুইট শেয়ার করে তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র লেখেন, ‘বিজেপির শুধু পুরুষরাই নারীবিদ্বেষী জীবন যাপন করেন না, মহিলারাও করেন।’ বিজেপি দলের সদস্য থাকার কারণে ‘পক্ষপাতিত্ব’ দেখিয়ে তিনি এই ধরনের মন্তব্য করছেন বলে মত তৃণমূলের। রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহলও মনে করছে, সন্দেশখালি পরিদর্শনে গিয়ে রেখা তাঁর নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেননি। তাঁর মন্তব্য গেরুয়া শিবিরের সুরের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। তিনি ভুলে গিয়েছেন যে, তিনি যে পদে বসে আছেন তা বিজেপির দেওয়া পদ হলেও বিজেপির দলগত পদ নয়। রেখা তাঁর পদের প্রতি সুবিচার করেননি। উল্টে তা কালিমা লিপ্ত করেছেন।