For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

ঝালদায় স্থগিত আস্থাভোট, নির্দেশ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের

আগামী শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর ঝালদা পুরসভায় কোনও আস্থা ভোট হচ্ছে না। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
04:22 PM Dec 06, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
ঝালদায় স্থগিত আস্থাভোট  নির্দেশ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা হাইকোর্টেরই(Calcutta High Court) সিঙ্গেল বেঞ্চের(Single Bench) নির্দেশের ওপর নেমে এল ডিভিশন বেঞ্চের(Division Bench) স্থগিতাদেশের(Stay Order) রায়। নেপথ্যে রাজ্যের পুরুলিয়া জেলার(Purulia District) ঝালদা পুরসভার(Jhalda Municipality) ক্ষমতাসীন চেয়ারপার্সেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের(No Motion Confidence) ওপর ভোটাভুটির নির্দেশ। এদিন অর্থাৎ বুধবার সেই অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আস্থাভোটের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। সেই আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল আগামী শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর। কিন্তু এখন সেই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ নেমে আসায় আর সেই আস্থা ভোট হচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে।

Advertisement

ঝালদা পুরসভা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া একটি মামলায় আগেই বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে আস্থা ভোট হয়েছিল চলতি বছরেই। সেই আস্থা ভোটের দিন ঝালদা পুরসভায় জেলা শাসকের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সেখানকার মহকুমা শাসক। সেদিন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। আস্থা ভোটের ব্যালট পেপার নিলেও ভোট দানে বিরত ছিল তৃণমূল। সেই আস্থা ভোটের আগেই শীলা সহ ৫ কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। বাকি ৪ কাউন্সিলর ছিলেন তপন কান্দুর আসনে জেতা তাঁর ভাইপো মিঠুন কান্দু, বিজয় কান্দু, পিন্টু চন্দ্র ও সোমনাথ কর্মকার। কিন্তু সেই সময় পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান থাকা কংগ্রেসি কাউন্সিলর তথা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। আবার তৃণমূলের ৫ কাউন্সিলরও শীলার পাশে দাঁড়াননি। শীলার অপসারণ চেয়ে পূর্ণিমা যেমন পৃথক মামলা দায়ের করেন, তেমনি তৃণমূলের ৫ কাউন্সিলরও আলাদা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলারই শুনানি ছিল গত ৩০ নভেম্বর।

Advertisement

সেই শুনানিতেই কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গের বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছিলেন, ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ঝালদা পুরসভায় আস্থা ভোট করাতে জেলা শাসকের উপস্থিতিতে ভোট করাতে হবে। তবে এই ভোট প্রক্রিয়ার জন্য পুরসভার কাজের প্রক্রিয়া ব্যাহত যাতে না হয়, সেই নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি। ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে সমস্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে, এমনটাও জানিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, শীলা চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পরে সেপ্টেম্বরের ১৪ তারিখ পুরসভার উপ পুরপ্রধান পদ থেকে পূর্ণিমা ইস্তফা দেন। এখন যা অবস্থা তাতে, আস্থা ভোট হলে শীলার হার নিশ্চিত ছিল। কেননা তাঁর পক্ষে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া শুধুমাত্র ৪জন কাউন্সিলরই রয়েছেন। অন্যদিকে তাঁর বিপক্ষে রয়েছেন তৃণমূলের প্রতীকে জেতা ৫ কাউন্সিলর, ১জন নির্দল কাউন্সিলর এবং ১জন কংগ্রেস কাউন্সিলর। এমতাবস্থায় শীলার তরী কার্যত ডুবতে চলেছিল। যদিও এদিন তাতে কিছুটা হলেও অক্সিজেন জোগালো হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিন অর্থাৎ বুধবার ঝালদা পুরসভা নিয়ে সিঙ্গেল বেঞ্চের অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ খারিজ করে দেয়। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, চেয়ারম্যানকে অপসারণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। সেই পদ্ধতিই অনুসরণ করতে হবে। অর্থাৎ এবার ঝালদা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে নোটিস দিতে হবে চেয়ারম্যানের জন্য অনাস্থা প্রস্তাব আনার ক্ষেত্রে। যেহেতু এই মুহুর্তে ঝালদা পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে কেউ নেই তাই এই নোটিস দেবেন মহকুমা শাসক। সেই নোটিসের ওপর তলবি সভায় প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে। সেখানে যদি শীলার বিপক্ষে বেশি ভোট পড়ে তাহলে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে, অন্যথা তিনিই চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবেন।  

Advertisement
Tags :
Advertisement