OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

১২৫০ কোটি টাকা দিয়ে রাজ্যই করবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, ঘোষণা মমতার

আর নয় কেন্দ্র, এবার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান শেষ করবে রাজ্য সরকারই। ১২৫০ কোটি তাকা দিয়ে ৩-৪ বছরেই সেই প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে। ঘোষণা মমতার।
02:30 PM Feb 12, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: আর নয় কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়ে থাকা। এবার সাবলম্বী হওয়ার পথে বাংলা। নেপথ্যে বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা আটকে দিয়েছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই খাতে কেন্দ্রের কাছ থেকে বাংলার বকেয়ার পরিমাণ প্রতায় ৭ হাজার কোটি টাকা। বার বার চেয়েও সেই টাকা পায়নি বাংলা। আর তার জেরেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা জানিয়ে দিয়েছিলেন বাংলার যে ২১ লক্ষ মানুষ ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ করেও তাঁদের প্রাপ্য মজুরি পাননি তাঁদের মজুরি রাজ্য সরকারই দিয়ে দেবে। আর সেটাও ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। সেই ঘোষণাকে বাস্তবায়িত করতে রাজ্য বাজেটেই ৩৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রকে মুখের মতো জবাব দিয়ে রাজ্য সরকার বাংলার Job Card Holders-দের জন্য বছরে ৫০ দিনের কাজের নিজস্ব প্রকল্প ‘কর্মশ্রী’ চালু করেছে এবং এই খাতে ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দও করেছে। এবার সেই একই পথে হেঁটে এদিন অর্থাৎ ১২ ফেব্রুয়ারি হুগলি জেলার(Hooghly District) আরামবাগ(Aarambag) থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান(Ghatal Master Plan) রাজ্য সরকারই তৈরি করে দেবে। আর কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকতে হবে না।

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আরামবাগ গিয়েছেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ তথা টলি হিরো দেব(Dev)। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে এদিনের সভামঞ্চে দাঁড় করিয়েই জানিয়ে দেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য রাজ্য সরকার আর কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকবে না। কেননা কেন্দ্র সরকারে বাংলার খাতে কোটি কোটি টাকা আটকে রেখেছে। রাজ্যই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই সব বড় প্রকল্প ৩-৪ দফায় হয়। এক দফায় এগুলি করা যায় না। আমরা কেলেঘাই, ক্ষীরাই, কপালেশ্বরী সংস্কার করেছি। আগে ওদের ওখানে খুব বন্যা হতো। এখন সেই সব নদী সংস্কার হওয়ায় আর বন্যা হয় না। ঘাটালের কাজটাও আমরাই করবো। দেব আমার ভাইয়ের মতন। ওর কথা ফেলি কী করে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান শেষ করতে আরও ১২৫০ কোটি টাকা লাগবে। সেটা আমরাই দিয়ে দেব। ৩-৪ বছর সময় লাগবে কাজটা শেষ করতে। দেব Champion of Ghatal Master Plan।’

এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা দেব আমাকে বলেছে। আমি যদি না বলি দেব আমার সঙ্গে ঝগড়া করবে। মাস্টার প্ল্যানের কথা দেব আমাকে বলেছে। আমি ইতিমধ্যেই আলোচনা করে নিয়েছি, আমার মুখ্যসচিব এবং আমাদের সেচ দফতরের সচিবের সঙ্গে। আগেও কপালেশ্বর কেলেঘাই আমরা মেদিনীপুরে করে দিয়েছি। ফলে মেদিনীপুরের অনেক মানুষ বন্যা কবলিত হওয়ার হাত থেকে বেঁচেছেন। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আমরা তৈরি করছি, ১৭ লাখ মানষ উপকৃত হবেন। কেন্দ্রীয় সরকার ক্লিয়ারেন্স দিচ্ছে না বলে প্রোজেক্টগুলি করা যায়নি। কিন্তু তার মধ্যেই আমরা আমাদের টাকা দিয়ে পলাশপাই, দুর্বাচটি, নতুন কাসাই ও ক্ষীরবক্সি নদীতে পুনর্খনন ও চন্দ্রেশ্বর খাল সংস্কার করেছি। কবে কোকিল ডাকবে, তবে বসন্তকাল আসবে, তা চিন্তা না করে, আমি নির্দেশ দিচ্ছি, এটা যাতে পরিকল্পনা তৈরি করে যাতে আমার ৩-৪ বছরের মধ্যে তৈরি করে ফেলতে পারি। দেব যখন আমার কাছে আবদার করেছে, দিদিভাই তো আর ভাইকে তো ফেরাতে পারে না। তাই তোমার আবদার আমি রাখছি দেব।’

উল্লেখ্য, প্রতি বছর বর্ষাকালে কংসাবতী ও শিলাবতীর জলাধার থেকে জল ছাড়লেই প্লাবিত হয় ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। তাতে যে শুধু আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে তাই নয়, প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটে। প্রণব মুখোপাধ্যায় যেখন কেন্দ্রে অর্থমন্ত্রী ছিলেন ইউপিএ সরকারের আমলে তখন তিনি এই প্রকল্পের কাজ শুরুর জন্য কিছু টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে রাজ্য আর এই খাতে কোনও টাকা পায়নি। এবার কিন্তু মমতাই জানিয়ে দিলেন, রাজ্যই এই মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণ করবে। তাতে উপকৃত হবেন ১৭ লক্ষ মানুষ।

Tags :
AarambagDevGhatal Master PlanHooghly District.Mamata Banerjee
Next Article