OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

মহিলাদের স্বনির্ভর করতে বাংলায় আরও ৮০হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন করবে রাজ্য

রাজ্যে নতুন করে আরও ৮০হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। নেপথ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
04:26 PM Jun 27, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে রাজনৈতিক পরিবর্তন শেষবার ঘটেছিল ২০১১ সালে। সেবার ৩৪ বছরের বাম অপশাসনকে ক্ষমতার অলিন্দ থেকে হটিয়ে বাংলার মসনদে আসীন হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই সময় থেকেই তিনি রাজ্যের মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়ে ওঠার বিষয়ে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব আরোপ করে চলেছেন। সেই সূত্রেই গ্রামে গ্রামে মহিলাদের নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠী(Women Self Help Groups) গঠন এবং সেই সব গোষ্ঠী যাতে ব্যাঙ্ক থেকে সহজ শর্তে ঋণ পায় সেই ব্যবস্থা করার দিকে জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। তার জেরেই গত ১৩ বছরে বাংলার বুকে ১০ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯৩৪টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। দেশের মধ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যার হিসাবে এখন বাংলাই প্রথম। এবার সেই সংখ্যাকে আরও বাড়িয়ে দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে নতুন করে আরও ৮০হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে নবান্ন। সবটাই হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। এর ফলে আরও ৮ লক্ষ পরিবার উপকৃত হতে চলেছেন।

চলতি বছরের প্রথম দিকেই জানা গিয়েছিল, দেশের মধ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির ক্ষেত্রে প্রথম হয়েছে বাংলা। সেই স্বীকৃতি দিয়েছিল কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকারই। শুধু তাই নয়, বাংলাকে তুলে ধরে কেন্দ্র দেশের সব রাজ্যকেই বার্তা দিয়েছিল যে, নারীর ক্ষমতায়নে তাঁরা যেন বাংলাকেই অনুসরণ করেন। সব থেকে বড় কথা বাংলার এই উন্নয়নের ধারেকাছেও নেই বিজেপি শাসিত কোনও ডবল ইঞ্জিনের রাজ্য। গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা বা District Rural Development Cell, যাকে অনেকেই DRDC বলে চেনে সেই দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘আনন্দধারা’ প্রকল্পের অধীনে বার্ষিক মাত্র ২ শতাংশ হারে ঋণ প্রদান করা হয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে। একটি গোষ্ঠী তৈরি হওয়ার ৬ মাস পর পদ্ধতি মেনে তাঁরা ঋণের জন্য আবেদন করতে পারে। নতুন অ্যাকাউন্টে শুরুতেই দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। পরে ঋণের পরিমাণ ধাপে ধাপে বাড়ে। আর এই ভাবেই ঋণ পেয়ে পেয়ে ক্রমেই আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে রাজ্যের মহিলাদের। ঋণ নেওয়ার পর সেই টাকা ব্যক্তিগতভাবে ভাগ করে কেউ পশুপালন করছেন, কেউ কাপড়ের ব্যবসা করছেন। এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে রাজ্য। স্বনির্ভর হচ্ছেন রাজ্যের মহিলারা।  

এবারের লোকসভা ভোটে বাংলার মহিলারা তৃণমূল কংগ্রেসকে(TMC) ঢেলে ভোট দিয়েছেন। আর তাই ভোট মিটতেই মহিলাদের স্বনির্ভর করতে রাজ্যে নতুন করে আরও ৮০হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। তৃণমূল সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে রাজ্যে নতুন করে মোট ৮০হাজার ২৭০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে জুন মাসের মধ্যে ৪০১৩টি। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের ৩৬ হাজার ১২১টি, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৩২হাজার ১০৯টি এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে আরও ৮০২৭টি গোষ্ঠী তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মতো জেলায় জেলায় টার্গেটও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতিটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্লক ভিত্তিক টার্গেট পাঠানো হয়েছে। সমষ্টিগতভাবেও মহিলাদের আর্থিক উদ্যোগ তৈরিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিকল্প নেই। তাই মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য আরও বেশি করে গোষ্ঠী গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। বাংলায় সাধারণ ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের কোনও মহিলা যাতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর থেকে বাদ না থাকেন সেজন্য গ্রামে গ্রামে সমীক্ষাও করা হয়েছে। এখনও গোটা রাজ্যে প্রায় ৮ লক্ষ মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আওতার বাইরে রয়েছেন। তাই তাঁদের প্রত্যেককে গোষ্ঠীর আওতায় আনার জন্য নতুন করে আরও ৮০হাজার গোষ্ঠী গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।    

Tags :
bengalDistrict Rural Development Cell.Mamata BanerjeeTmcWomen Self Help Groups
Next Article