মোদি কী এবার মণিপুর যাওয়ার হিম্মৎ দেখাবেন? খোঁচা উদ্ধবের
নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: জাতি হিংসায় গত এক বছরের বেশি সময় ধরে অগ্নিগর্ভ মণিপুর। উত্তর-পূর্বের রাজ্য অশান্তির আগুনে জ্বললেও একবারও সেখানে পা রাখেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকি লোকসভা ভোটের সময়েও প্রচারে যাননি। সেই অবহেলার জবাব দিয়েছেন মণিপুরবাসী। দুই আসনেই গোহারা হেরেছেন বিজেপি প্রার্থীরা। জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। গত সোমবার নাগপুরে এক অনুষ্ঠানে হিংসায় দীর্ণ মণিপুরে শান্তি ফেরাতে মোদি সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। আর এবার ভাগবতের কথা টেনেই মোদিকে খোঁচা দিলেন শিবসেনা (ইউবিটি) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে।
বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মণিপুরের জাতি হিংসা এবং জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গি হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে খোঁচা দেন বালাসাহেব ঠাকরের পুত্র। খানিকটা ব্যঙ্গের সুরে বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। জঙ্গি হামলায় ঘটা ওই প্রাণহানির দায় কে নেবে, তা দয়া করে বলবেন কী প্রধানমন্ত্রী? কেননা, কেন্দ্রের তরফ থেকে বার বার বলা হচ্ছে, উপত্যকায় নাকি শান্তি ফিরেছে। যদি শান্তি ফেরে, জঙ্গিদের নির্মূল করা হয়ে থাকে, তাহলে কেন বার বার হামলার ঘটনা ঘটছে? বার বার নিরীহ মানুষের প্রাণ ঝরছে? মোহন ভাগবতজি মণিপুর নিয়ে মুখ খুলেছেন। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বিরোধীদের কথা শোনা তো মোদির ডিএনএ’তে নেই। ভাগবতজির কথা শুনে মণিপুরে যাবেন কী? আমি এনডিএ সরকারের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত নই। আমি চিন্তিত দেশের ভবিষ্যত নিয়ে।’
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে মহাজোটের চার বিধায়ক সাংসদ পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে ওই চার আসন শূন্য হতে পারে। ওই চার আসনে কারা প্রার্থী হবেন তা নিয়ে মহাজোটের অন্দরে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে বলে খবর। যদিও তা স্বীকার করতে চাননি মহা বিকাশ আগাড়ির অন্যতম সেনাপতি উদ্ধব। তাঁর কথায়, ‘মহা বিকাশ আগাড়ির মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। অপপ্রচার চালিয়ে এমভিএ’র নেতা-কর্মীদের মনোবল ভাঙা যাবে না।’